বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তিন জেলায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া নয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। বুধবার এসব অভিযান পরিচালিত হয়।
Advertisement
দুদক জানায়, কুষ্টিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যবহারের টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে সমন্বিত জেলা কার্যালয়। অভিযানে দুদক টিম অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়।
টিম জানতে পারে, ওই কর্মকর্তার দাফতরিক গাড়িটি এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ থাকলেও গাড়িটি ব্যবহার এবং মেরামতবাবদ ভুয়া বিল ভাউচার ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
পরে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের বেআইনিভাবে আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে অভিযান পরিচালনাকারী এনফোর্সমেন্ট টিম।
Advertisement
এদিকে পাবনা মানসিক হাসপাতালের সেবা প্রদানে হয়রানি, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং হাসপাতালের খাবার ও ওষুধ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে সমন্বিত জেলা কার্যালয়। অভিযানে দুদক টিম হাসপাতালে সেবার মান এবং খাবার সরবরাহে বেশ কিছু অনিয়ম পায়।
এছাড়াও হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী বেসরকারি সুরমা মেন্টাল হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ জব্দ করে দুদক টিম। এ সময় জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট ওই হাসপাতালের এক মালিককে সাত দিনের কারাদণ্ড প্রদান করে।
এদিকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) অভিযোগ আসে, হেরিং বোন বন্ডের প্রকল্পের আওতায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ১৫০ মিটার রাস্তার কাজ করার জন্য ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৩০০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হলেও রাস্তার কাজ যথাযথভাবে করা হচ্ছে না। অভিযানে প্রাথমিকভাবে ওই রাস্তার কাজ নিম্নামানের প্রতীয়মান হয়।
এছাড়া দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে আগত অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য নয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দিয়েছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।
Advertisement
এমইউ/বিএ