জাতীয়

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারকেই ভূমিকা রাখতে হবে

বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্রিস্টালিনা জর্জিওভা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকেই ভূমিকা রাখতে হবে।

Advertisement

বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানান।

ঢাকার ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে বুধবার ‘গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’ বিষয়ক ঢাকা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ওই হোটেলেই তার সঙ্গে দেখা করেন ঢাকা সফররত বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী প্রধান।

নির্যাতনের মুখে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার আশ্বাস মিয়ানমার দিলেও তাতে কোনো অগ্রগতি নেই। রাখাইনে নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাসের নিশ্চয়তা চায় রোহিঙ্গারা। কিন্তু মিয়ানমার সেই পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

এজন্য মিয়ানমারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফলে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা কথা বলছেন, যার ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী প্রধানের মন্তব্য এলো।

ক্রিস্টালিনা জর্জিওভা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতা ও সংগ্রামের প্রতীক বলে অভিহিত করেন। প্রেস সচিব আরও জানান, বিশ্বব্যাংকের সিইও বলেন, আমি স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলাম, যখন বঙ্গবন্ধুর জাদুকরি নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করতে।’

বাংলাদেশের গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রসারের প্রশংসা করে জর্জিওভা বলেন, বাংলাদেশে দরিদ্রসীমা ২১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দেন তিনি।

Advertisement

বিশ্বব্যাংকের সিইও বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণ এবং বাণিজ্য প্রসারে জলপথ ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচএস/এমএআর/জেআইএম