সেমিফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, প্রতিপক্ষ আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ও এবারের আসরের স্বাগতিক ইংল্যান্ড। প্রস্তুতিটা তো আর হালকাভাবে নিলে হবে না। পুরো অস্ট্রেলিয়া দলই এই ম্যাচটিকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
Advertisement
তবে শুধু মাঠের প্রস্তুতিই নয়, অস্ট্রেলিয়ার মতো দল গেম প্ল্যানেও বরাবর চমক রাখতে পছন্দ করে। যেমনটা শোনা যাচ্ছে ইংলিশদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো তারকা অলরাউন্ডার ছিলেন না প্র্যাকটিস সেশনে। তারপর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লো, বৃহস্পতিবার ইংলিশদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনালে একাদশে রাখা হবে না অফফর্মে থাকা ম্যাক্সওয়েলকে।
এই বিশ্বকাপে ৯ ইনিংসে মাত্র ১৫৫ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল। ফর্মটা যেহেতু পাশে নেই, তার অনুশীলনে না আসাটাও কিছু ইঙ্গিত করেই।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ অবশ্য খুব কৌশলে এড়িয়ে গেলেন বিষয়টা। তার দাবি, কেউ অনুশীলন করেনি বলেই যে সে ম্যাচে খেলবে না এমন তো নয়।
Advertisement
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফিঞ্চ বলেন, ‘এটা ঐচ্ছিক ট্রেনিং সেশন ছিল। আপনারা এটা নিয়ে বেশিই ভাবছেন। ম্যাক্সি (ম্যাক্সওয়েল) এমন একজন যে কিনা ঐচ্ছিক অনুশীলনে পঞ্চাশ ভাগ সময়ই থাকে না। বেশিরভাগ বোলারই ছিল না। ডেভিও (ওয়ার্নার) ছিল না। আমরা কাল (বৃহস্পতিবার) বরাবরের মতো টসের সময়ই একাদশ জানাব।’
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া বরাবরের ফেবারিট। গত পাঁচ বিশ্বকাপের চারটিই ঘরে তুলেছে তারা। এবার অবশ্য অসিদের নিয়ে ওত আলোচনা ছিল না। ওয়ার্নার-স্মিথের এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় একেবারে তলানির দল হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
তবে বিশ্বকাপের ঠিক আগে ভারত সফরে ওয়ানডে সিরিজ জিতে চাঙা হয়ে উঠে তারা। ওয়ার্নার-স্মিথ ফেরার পর এই দলটিই সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।
ইংলিশদের বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে তাই ফিরে এলো সেই প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়ার গল্প। ফিঞ্চও মনে করছেন, অতীত পরিসংখ্যান এবার সাহস দেবে তাদের।
Advertisement
তবে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে সতর্কও আছেন অসি অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বিশ্বকাপে আমরা চারবারই জিতেছি। এটা দুর্দান্ত একটা অর্জন। আমরা এই ম্যাচে পুরো আত্মবিশ্বাসী থেকেই নামব। তবে ইংল্যান্ড গত চার বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে এগিয়ে থাকা এক দল। যারা স্নায়ু ধরে রাখতে পারবে এবং হাফ চান্সগুলো কাজে লাগাবে তারাই জিতবে।’
এমএমআর/জেআইএম