রেলপথে গত ছয় মাসে ২০২ দুর্ঘটনায় ২০৯ নিহত ও ১৪৬ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪৭ নারী ও ২১ শিশু রয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে।
Advertisement
গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
বুধবার (১১ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২২টি বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং আটটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে ৩৯টি দুর্ঘটনায় ১০ নারী ও চার শিশুসহ ৩৯ জন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ৪৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩ ও আহত হয়েছে ২২ জন। নিহতের মধ্যে ১০ নারী ও চার শিশু রয়েছে। মার্চে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ছয় নারী ও চার শিশুসহ ৩৮ জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছে।
Advertisement
এপ্রিলে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৩টি। এতে ২৬ জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার নারী ও তিন শিশু রয়েছে। মে মাসে ৩০টি দুর্ঘটনায় আট নারী ও তিন শিশুসহ ৩০ জন নিহত হয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছে তিনজন। জুনে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২৯। এতে ৩৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ৯ ও তিন।
সংগঠেনর সভাপতি আশীষ কুমার দে বলেন, গত ছয় মাসে সড়কের তুলনায় রেলপথে দুর্ঘটনার হার খুবই কম। পর্যবেক্ষণে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পেছনে পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
সেগুলো হলো- দূরপাল্লার ট্রেনে চালকদের অসতর্কতা, কিছু সংখ্যক রেল সেতুসহ অনেক স্থানে রেলপথ দীর্ঘ দিন সংস্কার না করা, রেল ক্রসিং (সড়ক ও রেলপথের সংযোগ স্থল) কর্মচারীর দায়িত্ব পালনে গাফলতি, মোবাইল ফোনে আলাপরত অবস্থায় রেল লাইন পারাপার এবং রেলপথ সংলগ্ন এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীদের সচেতনতার অভাব।
এফএইচএস/এএইচ/জেআইএম
Advertisement