দেশজুড়ে

৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি, ডিসি বললেন খবর পাইনি

ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

Advertisement

বুধবার বিকেল ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। ব্যারাজ রক্ষার্থে ৪৪টি জলকপাট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তিস্তা, সানিয়াজান ও ধরলার পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চল এলাকার প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুইদিন ধরে ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বেড়ে যায়। এতে চরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিন হাজার পরিবার। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।

এদিকে, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিঙ্গীমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের জলাবদ্ধতার কারণে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

Advertisement

হাতীবান্ধা উপজেলা গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডের অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ সহায়তা এখনো পাইনি।

গড্ডিমারী ইউনিয়নের ছয়আনী গ্রামের মোকছেদ আলী বলেন, গড্ডিমারীর ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের পরিবারগুলো নদীর পানি বৃদ্ধিতে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দোয়ানী ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজান থেকে তেমন পানি আসছে না। তবে বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর বলেন, বৃষ্টির কারণে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছা ইউনিয়নে কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে হাতীবান্ধা উপজেলায় পানিবন্দি হওয়া খবর পাইনি।

Advertisement

রবিউল হাসান/এএম/জেআইএম