রিসেপ তাইপে এরদোয়ান। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। ব্যক্তি জীবনে পবিত্র কুরআনের হাফেজ এরদোয়ান। পরিচ্ছন্ন ও উন্নত চরিত্রের ঈমানদার প্রজন্ম উপহার দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা বন্ধ করতে চান তিনি।
Advertisement
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তিনি গত বছর (২০১৮) সেপ্টেম্বরে দীর্ঘ ৫০ বছর পর তার শৈশব জীবনে পড়ালেখা করা স্কুলের এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সে স্কুলে তিনি উন্নত ও চরিত্রবান জাতি গঠনে সহশিক্ষা বাদ দিতে তার মতামত তুলে ধরেন। সহশিক্ষা পরিবর্তনের লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান।
দীর্ঘ ৫০ বছর আগে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের এক পাহাড়ে একটি ধর্মীয় স্কুল ছিল। যেখানে শৈশবে তিনি পড়ালেখা করেছেন। শিখেছেন পবিত্র কুরআন। সে স্কুলে ছিল না কোনো সহশিক্ষা। শৈশবের সে স্মৃতি তিনি তুলে ধরেন।
পাহাড়ের সে স্কুলে শ্রমিক শ্রেণির মানুষদের সন্তানদের ইসলামের শিক্ষা দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। মূলত এটি তখন স্কুল হিসেবে পরিচালিত হতো না। সেখানে কিশোর ও তরুণদের ইমাম ও দীনের প্রচার কাজের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হতো। এরদোয়ান সেখানেই পড়ালেখা করেছেন, শিখেছেন পবিত্র কুরআন।
Advertisement
ইস্তাম্বুলের সেই পাহাড়ি ধর্মশালায় ছেলে-মেয়েদের অবাধ চলাফেরা বা মেলামেশার সুযোগ তথা সহশিক্ষা ছিল না। সেখানে ইসলামের সুমহান বাণী ও সুমহান শিক্ষা তুলে ধরা হতো।
বর্তমানে সে স্থানটিতে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ স্কুলের নাম দেয়া হয় ‘রিসেপ তাইপে এরদোয়ান আনাতোলিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়’। এরদোয়ান ৫০ বছর পর এ স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শৈশবের কঠিন দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন। পাশাপাশি সহশিক্ষামুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের উদ্যোগের কথা জানান।
এরদোয়ান বলেন, ‘সব শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য হলো প্রজন্মকে ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়া। নিজেদের উন্নত জাতিতে পরিণত করা। ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি হওয়া।
আমি মনে করি, শিক্ষার্থীদের মন-মননে তখনই স্বচ্ছতা, পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা আসবে, যখন শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষার প্রভাবমুক্ত হবে। ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে পড়ালেখা না করে আলাদা আলাদাভাবে শিক্ষাগ্রহণ করবে।
Advertisement
এরদোয়ান আশা প্রকাশ করে বলেন, “আমি সহশিক্ষামুক্ত শিক্ষার পরিবেশের স্বপ্ন দেখি। যেখানে একটি পরিচ্ছন্ন উন্নত চরিত্রবান ‘ধর্মীয় প্রজন্ম’ তৈরি হবে। তারা সুন্দরভাবে দেশ গঠন ও সভ্যতা বিনির্মাণে কাজ করবে।”
এমএমএস/জেআইএম