রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শরীরে যে সংক্রমণ ছিল তা কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন তার ভাই ও পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
Advertisement
আজ (বুধবার) বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
জিএম কাদের বলেন, ওনার (এরশাদের) কিডনি কাজ করছে কি-না এটা দেখার জন্য ডায়ালাইসিস বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সুফল পাওয়া যায়নি। আবার ডায়ালাইসিস শুরু হয়েছে। তবে প্রধান ইনফেকশনগুলো কমে এসেছে। শরীরে যে জীবাণু ছিল তা বের করা হচ্ছে।
এ ছাড়া একদিন বিরতি দেয়ার পর ফের হেমোডায়াফিল্টারেশন ও হেমো পারফিউশন শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
তিনি বলেন, আমি সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে গিয়েছিলাম এবং তার কক্ষে গিয়ে দেখলাম তিনি ঘুমিয়ে আছেন। ডাক্তার ডাক দিলে চোখ খোলার চেষ্টা করেছেন। স্বাভাবিকভাবে ডাক্তাররা ওষুধ দিয়ে রাখার ব্যবস্থা নিয়েছেন। তবে তার বয়সের কারণ ততটা উন্নতি হচ্ছে না।
বিদেশে থেকে চিকিৎসক আনা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, এখানকার চিকিৎসকরা সর্বাধুনিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারপরও পরিচিত বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করছেন। তাদের ধারণা ৭/৮ দিন এভাবে কৃত্রিম সার্পোটে রাখলে হয়তো তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
মাইডোলিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে আক্রান্ত এরশাদের শারীরিক অবস্থা ৩-৪ দিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জি এম কাদের আরও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার চোখ মেলে তাকালেও ওষুধের প্রভাবে তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকায় বুধবার আর চোখ মেলেননি।
Advertisement
এরশাদের ছোট ছেলে এরিক এরশাদকে হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অস্বাভাবিকতা কিছু যদি থাকে, তাহলে থানায় জিডি করে রাখাই তো নিয়ম। এর চেয়ে বেশি কিছু বলা বাহুল্য। বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
গত ২২ জুন থেকে ৯০ বছর বয়সী এরশাদ সিএমএইচে চিকিৎসাধীন। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদ হিমোগ্লোবিন-স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছেন। ৪ জুলাই বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
এইউএ/এনএফ/এমকেএইচ