কক্সবাজার সৈকতের সিগাল পয়েন্ট থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধারের পর ট্রলারের ভেতর থেকে আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোররাতে বালিয়াড়ি থেকে চারজনের ও সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ট্রলারের ভেতর থেকে অপর দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান।
Advertisement
তবে ট্রলারে থাকা দুইজনকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের একজনের নাম মনির মাঝি, অপরজন জুয়েল। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা ভোলার বাসিন্দা বলে জানালেও বিস্তারিত পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
জুয়েল জানান, গত ৭ জুলাই ভোলা থেকে তারা ১৫ জন ট্রলারটি নিয়ে বের হন। বৈরী আবহাওয়ায় পড়ে তাদের ট্রলার ডুবে গেছে এতটুকু তার মনে আছে। এরপর তারা কোথায় গেছে কি অবস্থা হয়েছে তার কিছুই মনে নেই।
ওসি খায়রুজ্জামান জানান, রাতে বিচে থাকা কর্মীরা সৈকতে মরদেহ ভেসে আসার খবর দিলে পুলিশ সিগাল পয়েন্টে গিয়ে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে। বালিয়াড়িতে উঠে আটকে যাওয়া ফিশিং ট্রলারে রাতের আঁধারে ওকি দিয়ে জাল ও অন্য সরঞ্জাম দেখে ফিরে যায় পুলিশ। কিন্তু সকালে বিচে আসা লোকজন ট্রলারের ভেতর আরও দুটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। মরদেহগুলো অনেকটা বিকৃত হয়ে গেছে।
Advertisement
অপরদিকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট হতে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার দুইজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- নিহতরা ভোলা এলাকার জেলে। তাদের বিষয়ে খোঁজ পেতে ভোলায় যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/এমএস