ভারতের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও সমাজসেবী আন্না হাজারেকে খুন করার জন্য পেশাদার খুনিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি নিজেই। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মুম্বাইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির হয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
Advertisement
আদালতে তিনি জানান, মহারাষ্ট্রের ওসমানাবাদের টেরনা চিনি কারখানার দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তাই তাকে খুনের জন্য কুখ্যাত দুষ্কৃতিদের নিয়োগ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে চিঠি দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২০০৬ সালের ৬ জুলাই মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা পবন রাজে নিম্বালকার ও তার গাড়িচালককে গুলি করে হত্যা করে দুই দুষ্কৃতি। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের জেরায় জানা যায়, ওই খুনের পিছনে রয়েছে শরদ পাওয়ার ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা পদমসিনহা বাজিরাও পাটিল।
মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে বিচারক আনন্দ ইয়াভালকারের এজলাসে সেই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে হাজির হয়ে তাকে খুনের ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে অভিযোগ করে আন্না হাজারে আরও বলেন, ‘ওই চিনি মিলের দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরেই তা তুলে নিতে হুমকি দেয় পাটিল। তার লোকজন আমার অফিসে এসে একটি ব্ল্যাঙ্ক চেকও দেয়। কিন্তু, আমি রাজি হয়নি। তবে পবন রাজে নিম্বালকারের খুনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখেই এ বিষয়ে জানতে পারি।’
Advertisement
নিজের খুনের চক্রান্ত সম্পর্কে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর আগে তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। এর ফলে তাকে দেওয়া পদ্মশ্রী ও বৃক্ষমিত্র পুরস্কার নিতেও অস্বীকার করেন তিনি। অনশনে বসেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে সরকার।’
আরএস/এমএস