দেশজুড়ে

নারী ফুটবল দলের দুই সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের দুই সদস্য মার্জিয়া আক্তার ও সাজেদা খাতুন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের ভর্তি করা হয়।

তাদের শরীরে ডেঙ্গু পজেটিভ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার।

ফুটবল কন্যা মার্জিয়া আক্তার ও সাজেদা খাতুন বলেন, গত ২ জুলাই আমরা দুইজনই জ্বরে আক্রান্ত হই। বিষয়টি আমাদের কোচ ছোটন স্যারকে জানাই। ৪ তারিখে ছোটন স্যার মাহমুদা আক্তার অনন্যা ম্যাডামকে (সহকারী কোচ) দিয়ে ঢাকার মর্ডান ডায়াগোনেস্টিকে নিয়ে আমাদের রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। পরীক্ষার রিপোর্ট না নিয়ে আমারা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের কলসিন্দুরে চলে আসি। সোমবার (৮ জুলাই) রাতে অনন্যা ম্যাডাম মোবাইল ফোনে জানান, আমাদের রক্তে ডেঙ্গুর জীবাণু রয়েছে। সেদিন রাতেই বিষয়টি নিয়ে কলসিন্দুর নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার মালা রানী সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেই। পরে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আমরা দুইজনই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

Advertisement

আরও পড়ুন >> ৬ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড এ মাসেই ছাড়িয়ে যাবে!

কলসিন্দুর নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার মালা রানী সরকার বলেন, সোমবার রাতে ফুটবলার সাজেদার মা আমাকে বিষয়টি জানায়। পরে আমি ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বলে দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করি। এখানকার চিকিৎসকরা অনেকগুলো পরীক্ষা (টেস্ট) দিয়েছেন। সেগুলো করতে দেয়া হয়েছে। এখনও রিপোর্ট হাতে পাইনি।

এ ব্যাপারে জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠাই। সেখানে পরীক্ষা (টেস্ট) করিয়েই রিপোর্ট না নিয়েই তারা গ্রামের বাড়ি চলে যায়। সোমবার রিপোর্ট পেয়েই আমরা তাদের জানাই এবং দ্রুত ঢাকায় এসে চিকিৎসা নিতে বলি। বর্তমানে দুজনই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমাদের ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সব সময় খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার বলেন, ঢাকার বিভিন্ন পরীক্ষার (টেস্ট) রিপোর্ট দেখে বুঝা যাচ্ছে তাদের শরীরে ডেঙ্গু পজেটিভ রয়েছে। আমাদের এখানেও সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই।

Advertisement

রকিবুল হাসান রুবেল/এমবিআর/জেআইএম