তার বাড়ি ইংল্যান্ড। তারপরও বিশ্বকাপ শেষে কেন স্টিভ রোডস ঢাকা ফিরে যাচ্ছেন? তা নিয়েই প্রশ্ন জেগেছিল। লন্ডনেই জোর গুঞ্জন ছিল, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন টাইগারদের শেষ পরিণতি দেখে সন্তুষ্ট নন। বিশেষ করে পাকিস্তানের সাথে চরম ক্যাজুয়াল অ্যাপ্রোচ আর অনুজ্জ্বল ও খাপছাড়া পারফরম্যান্সে বিসিবি বিগ বস রীতিমতো অসন্তুষ্ট এবং তিনি চটেছেন।
Advertisement
তাই তখনই লন্ডনে শোনা গিয়েছিল, স্টিভ রোডসের ওপরও ভীষণ ‘খেপে আছে’ বোর্ড। তার দল পরিচালনা, কোচিং কলাকৌশল আর লক্ষ্য-পরিকল্পনায় নিয়েও বোর্ড সন্তুষ্ট নয়। তাকে আর রাখা হবে না। তবে যেহেতু এই জুলাই মাসেই শ্রীলঙ্কা সফর, তাই ভাবা হচ্ছিল, রোডসকে এই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ পর্যন্ত রেখে দেয়া হতে পারে।
শেষ পর্যন্ত তাও রাখা হয়নি। ঢাকা পৌঁছার ২৪ ঘণ্টা পর বিসিবি প্রধান নির্বাহীর সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পর তাকে আপস রফায় না করে দেয়া হয়েছে। তার মানে শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই কোচশূন্য হয়ে পড়েছে জাতীয় দল।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, শ্রীলঙ্কা সফরে কোচ হয়ে যাবেন কে? সামনে হাতে সময় আছে ১২ থেকে ১৪ দিন। মানে দুই সপ্তাহেরও কম সময়। এই সময়ের মধ্যে একজন ভিনদেশি কোচ নিয়োগ বা নতুন কোনো কোচের দেখা মেলা প্রায় অস্বাভাবিক ব্যাপার। খানিকটা অবাস্তবও।
Advertisement
তাই ভাবা হচ্ছে কোন অন্তবর্তীকালীন কোচ নিয়োগ দেয়া হবে। তাহলে তিনি কে হতে পারেন? তা নিয়ে কেউ কেউ বেসামাল হলেও, উত্তরটা খুব সহজ। ভেতরের খবর, বোর্ড পরিচালক এবং জাতীয় দলের সাথে নানাভাবে ও পদে সম্পৃক্ত খালেদ মাহমুদ সুজনই হতে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ।
আজ বিসিবিতেও এসেছিলেন সুজন। সেখানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে এক পর্যায়ে সুজন জানিয়েছেন, তিনি ‘অ্যাভেইলেবল।’ বোর্ড চাইলে তিনি শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করতে রাজি আছেন।
জানা গেছে, বোর্ডের নীতিনির্ধারণী মহলের মূল অংশটাও সুজনকেই কোচের দায়িত্ব দিয়ে শ্রীলঙ্কা পাঠাতে আগ্রহী। এদিকে সুজনকে দায়িত্ব দেয়া ছাড়া উপায়ও নেই। কারণ, পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ আর স্পিন বোলিং কোচ সুনিল জোসির চুক্তি শেষে তা নবায়ন করা হয়নি। সুতরাং ইতিমধ্যে তাদের বিদায় ঘটে গেছে।
এখন কোচিং স্টাফদের মধ্যে আছেন শুধু ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি। এই প্রোটিয়াও হয়তো ভারপ্রাপ্ত হেড কোচ হয়ে শ্রীলঙ্কা যেতে পারতেন; কিন্তু জানা গেছে, তিনিও ব্যক্তিগত কারণে আগেই না করে দিয়েছেন, ‘আমার পক্ষে শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলের সঙ্গী হওয়া সম্ভব নয়।’ সুতরাং ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে যে খালেদ মাহমুদ সুজনই নিশ্চিত, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
Advertisement
এআরবি/আইএইচএস/এমএস