রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় সাক্ষ্য হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন বাসার দারোয়ান ফরিদ উদ্দিন (৫০)।
Advertisement
মঙ্গলবার সাক্ষ্য হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আরজুন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে সোমবার (৮ জুলাই) সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় ধর্ষক হারুন অর রশিদ। ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নবনির্মিত ভবনটির নবম তলার খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে সায়মাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
Advertisement
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই ভবনের ছয় তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো সায়মা। বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সায়মা। ওয়ারী সিলভারডেল স্কুলের নার্সারিতে পড়ত।
আব্দুস সালাম বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সায়মা তার মাকে বলে, ‘আমি উপরে পাশের ফ্ল্যাটে যাচ্ছি, একটু খেলাধুলা করতে। এরপর থেকে নিখোঁজ হয় সায়মা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নবম তলায় খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে গলায় রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পাই।’
এরপর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, প্রাথমিকভাবে সায়মার শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ধর্ষণের পর তাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ময়নাতদন্তে তার যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন, মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন, ঠোঁটে কামরের দাগ দেখা গেছে।
জেএ/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement