সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ৭ ভাগেরও বেশি প্রতিবন্ধী। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবন্ধিতা সনাক্তকরণ কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, এ সংখ্যা ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৮ জন। এ বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে দেশের কাংঙ্ক্ষিত উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। এদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সহায়তার মাধ্যমে জনসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
Advertisement
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে সাইটসেভারস, এ ডি ডি ইন্টারন্যাশনাল ও বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন আয়োজিত ‘ইনক্লুশন ওয়ার্কস’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ ডি ডি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী জিমি ইনসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাইটসেভার্সে কান্ট্রি ডিরেক্টর খন্দকার আরিফুল ইসলাম, ইনক্লুশন ওয়ার্কসের প্রকল্প পরিচালক ডগলাস স্মিথ ও বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড লেইস প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, দেশের কোনো মানুষ যাতে অসহায়ভাবে জীবনযাপন না করে, সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কাজ করছে। চলতি অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ৫ হাজার ৫২ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব অসহায় মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানান তিনি।
নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে অটিজম, শারীরিক, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক অসুস্থ, দৃষ্টি, বাক, বুদ্ধি, শ্রবণ, সেরিব্রাল পালসি ও ডাউন সিনড্রোম ক্যাটাগরিতে ডাক্তার কর্তৃক প্রতিবন্ধীদের সনাক্ত করে ডাটাবেজ সফটওয়্যারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এসব প্রতিবন্ধীদের লেমিনেটেড পরিচয়পত্র সরবরাহ করা হবে। সংরক্ষিত তথ্যের আলোকে প্রতিবন্ধীদের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিতে পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
Advertisement
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজারে প্রতিবন্ধী যুবদের চাকরিতে প্রবেশ ও অন্তর্ভুক্তি বেশ কঠিন। পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত দক্ষতা, জ্ঞান এবং প্রয়োজনীয় তথ্য না জানাদের জন্য এ বিষয়টি আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও উন্নয়ন সংগঠনগুলো প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান তৈরির জন্য কাজ করলে এসব বাধা ও অসামঞ্জস্যতা হ্রাস পাবে।
এমইউএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম