আইন-আদালত

বিড়াল ছানা হত্যা মামলা বিচারের জন্য বদলি

দু’দিন বয়সী বিড়াল ছানা হত্যার অভিযোগে করা মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলার একমাত্র আসামি খিলগাঁও মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান মেহজাবিন।

Advertisement

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম মামলাটির অভিযোগপত্র দেখিলাম বলে স্বাক্ষর করে ঢাকার ৫নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩১ মে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক নয়ন দেবনাথ।

আরও পড়ুন>> বিড়াল ছানা হত্যায় কলেজছাত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

Advertisement

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিটে উল্লেখ করেন, ইশরাত জাহান মেহজাবিন (১৭) নির্দয়ভাবে একটি দু-তিনদিন বয়সের বিড়াল ছানাকে প্লাস্টিকের পাইপ এবং স্টিলের ছোরা দিয়ে হত্যা করে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইন, ১৯২০ সালের ৭ ধারায় অপরাধ করেছেন। কিন্তু ইশরাত জাহান মেহজাবিন প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় শিশু আদালতে বিচার প্রার্থনা করছি।

গত ২২ মার্চ ইশরাত জাহানকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক নয়ন দেবনাথ। অপরদিকে ইশরাতের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান ঘোষ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া তিনি এ দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

২১ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে মুগদা থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নয়ন দেবনাথ বলেন, ইশরাত জাহান দুদিনের একটি বিড়াল ছানাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর হত্যার ওই ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে। ভিডিওটি ফেসবুকে দেখতে পায় কেয়ার ফর পাওয়ার নামে একটি সংগঠন। তারা বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করে। বিড়াল ছানা হত্যার অভিযোগে সংগঠনের মহাসচিব জাহিদ হাসান ইশরাতের নামে মামলা করেন।

তিনি আরও বলেন, ইশরাত খিলগাঁও মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার দাবি, সে ক্লাসের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য এ কাজ করেছিল। সে দুদিন আগে বিড়াল ছানাটি হত্যা করে। তার বাসা গোপীবাগের ষষ্ঠ লেনে।

Advertisement

জেএ/জেডএ/এমএস