কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চাল ফুটো থাকায় বৃষ্টির পানি পড়ছে শ্রেণিকক্ষে। ফলে গত দুই ধরে অনেকটা বাধ্য হয়েই ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুলে একটি নতুন ভবন থাকার পরেও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পুরাতন আধা পাকা টিনসেডের কক্ষে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা। আর টিনের চাল ফুটো থাকায় সরাসরি বৃষ্টির পানি পড়ছে শ্রেণিকক্ষে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আলামিন, আরিফুল ইসলাম ও মিতু খাতুনসহ অনেকে জানায়, টিনের চাল ফুটো থাকায় তারা গত দুই দিন ধরে ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করছে। তবে ছাতা মাথায় দেয়ার পরও পানি পড়ে বইখাতা ও পোশাক ভিজে যায়। এরপরেও বৃষ্টিতে ভিজে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। দ্রুত শ্রেণিকক্ষের সংস্কারের দাবি করে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পি ভি রুনী সাঈদা বেগম জানান, এক বছর হলো আমি এ বিদ্যালয়ে এসেছি। এই এক বছরে বেশ কয়েকবার পুরাতন টিনসেডটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও কোনো সাড়া পাইনি। তাই এই বৃষ্টির মধ্যে বাধ্য হয়েই পুরাতন টিনসেডে ক্লাস নিতে হচ্ছে। বইখাতাসহ পোশাক ভিজে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বাড়ি থেকে ছাতা নিয়ে এসে ক্লাস করছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রাশেদুল ইসলাম মন্ডল বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে পুরাতন টিনসেড রুমে ক্লাস না নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রাক-প্রাথমিক বরাদ্দের টাকা দিয়ে খুব শিগগিরই কক্ষ দুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। বরাদ্দ আসলে রুম দুইটি সংস্কার করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রাশেদুল ইসলাম মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়টিতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, নতুন ভবনের রুম থাকার পরেও প্রধান শিক্ষক নিজেই শিক্ষার্থীদের পুরাতন টিনসেডের কক্ষে ক্লাস করাচ্ছেন। আর নতুন ভবনের রুম স্টোররুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরে পুরাতন টিনসেডের কক্ষে পাঠদান না করার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ শ্রেণিকক্ষগুলো দ্রুত সংস্কারে ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
নাজমুল/এমবিআর/এমএস
Advertisement