ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, দুর্নীতি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের খুঁটির জোর কার কতটুকু সরকার তার তোয়াক্কা করে না। আইনের আওতায় আনা হচ্ছে দুর্নীতিবাজদের। দুর্নীতি দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
Advertisement
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) ডিবেটিং ক্লাব আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে একথা বলেন তিনি। ‘বর্তমান সরকার দুর্নীতি দমনে অনমনীয়’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে তিনি ট্রফি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিইউবিটি’র ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর মিঞা লুৎফার রহমান।
এ সময় শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার পরামর্শ দেন ফজলে রাব্বী। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রসারে এবং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক ঠেকাতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশ চালাতে যোগ্য লোকবলের প্রয়োজন। আর তাই যোগ্য লোকবল তৈরি করতে হলে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা অবশ্যই প্রয়োজন, যারা দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তুলবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য বিইউবিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, কালো টাকা কখনোই সাদা করা যায় না। ডাকাতির টাকা ট্যাক্স দিলেও সাদা হয় না। সরকারের উচিত এক্ষেত্রে ‘অপ্রদর্শিত অর্থ’ শব্দটি ব্যবহার করা।
Advertisement
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিইউবিটির উপাচার্য প্রফেসর মো. আবু সালেহ। তারুণ্যের উদ্দীপনা ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তারুণ্যের শক্তির কাছে জঙ্গিবাদ ও মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি কিছুই টিকতে পারে না। শুধু পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে সবকিছু অর্জন করা যায় না।
গত ৬ জুলাই বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিইউবিটি ট্রাস্টের সদস্য এ এফ এম সরওয়ার কামাল। উদ্বোধনের পর বিইউবিটি’র ১১ বিভাগের মোট ২০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বিতর্ক কর্মশালা এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় বিইউবিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রানার আপ হয় বিবিএর শিক্ষার্থীরা। সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয় আইন বিভাগের কথামিত্র।
এইচএস/এমএসএইচ/পিআর
Advertisement