ডেঙ্গুর এই মৌসুমে জ্বর হলে অবহেলা না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
Advertisement
মঙ্গলবার সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালনের প্রস্তুতি সভার শুরুতে এ কথা জানান মহাপরিচালক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘রোগীদের জন্য বলব, আমরা জ্বর হলে অনেক সময় সাধারণ জ্বর মনে করি। ডেঙ্গু জ্বরও রোগীর কাছে সাধারণ জ্বর বলেই মনে হয়। যে কোন জ্বরকে তারা যেন সাধারণ জ্বর মনে না করেন, অবহেলা না করেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেন, ডেঙ্গু পরীক্ষা করেন। যদি পরীক্ষা করে দেখা যায় ডেঙ্গু নেগেটিভ তবেই সাধারণ বা অন্য কোনো জ্বর হতে পারে। ডেঙ্গু পজিটিভ হলে ডেঙ্গুর বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ডেঙ্গু চিকিৎসায় গাইডলাইন তৈরি করেছি। এই বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি ভালো গাইডলাইন। যারা এই গাইডলাইনটি প্রণয়ন করেছেন আমরা অতিসম্প্রতি তাদের নিয়ে একটি পর্যালোচনা সভা করেছি। তারা আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, যে সব হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হবেন তাদের চিকিৎসায় চিকিৎসকরা যাতে গাইডলাইনটা স্ট্রিকলি ফলো করেন।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘অনেকে অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য ডেঙ্গুতে অন্যরকম চিকিৎসা দেন। সেটাও কিন্তু রোগীর জন্য খারাপ হতে পারে। কাজেই রোগীদের জন্য পরামর্শ জ্বর হলে অবহেলা করবেন না। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেবেন।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং ছাড়পত্র পাওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬২৬। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি ৫৫১।’
গত ৫ জুলাই ৯৮ জন, ৬ জুলাই ১৬৪ জন, ৭ জুলাই ১২৪ জন, ৮ জুলাই ১৩০ জন, আজ ৯ জুলাই দুপুর পর্যন্ত ১০৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। কিন্তু এর মানে এই না যে আগামী দিনগুলোতে কমবে। বৃষ্টি ও তাপমাত্রার সঙ্গে ডেঙ্গুর একটা সম্পর্ক আছে। এখন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টি না হলে আবার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই রকম একটা পরিবেশ এডিস মশার বংশ বৃদ্ধির জন্য উপযোগী।’
Advertisement
‘আমাদের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে। কোনো রোগী হাসপাতালে আসলে চিকিৎসা পাবেন।’
এবার সরকারি-বেসরকারি ৪৭টি হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে জানিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এবার আমাদের কন্ট্রোল রুম ও ডাইরেক্টর ডিজিজ কন্ট্রোল- দুটি বিভাগই এই কাজটি করছে। এবার মোটামুটি সব রোগীরই খবর পাচ্ছি।’
আরএমএম/জেএইচ/পিআর