বর্ষা মানেই প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখা। দিনের শেষে একমগ কফি হাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখা। ঘরে তৈরি মুখরোচক নানারকম খাবার খাওয়া। ইলিশ-খিচুড়ির স্বাদ নেয়া। আরও কত কী! কিন্তু চিকিৎসকেরা যে এই সময়টাতেই খাবারের ব্যাপারে বেশি সতর্ক হতে বলছেন! কারণ এইসময়ই সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে জীবাণুরা। আর সুযোগ পেলেই বাঁধিয়ে দেয় জ্বর, সর্দি, কাশি, পেটখারাপ। এমনকী ডেঙ্গু বা চিকেন পক্সেও আক্রান্ত হন অনেকে!
Advertisement
শাক : এই সময়টা শাক এড়িয়ে চলার কথা বলা হয় সবসময়। কারণ, বর্ষায় পোকামাকড় বাড়ে, আর খুব ভালোভাবে তা পরিষ্কার করা থাকে না। এছাড়াও নোংরা পানি লেগে থাকতে পারে। তাই বর্ষার সময়ে শাক কম খান। কারণ এর ফলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
ভাজা খাবার : ডিপ ফ্রায়েড খাবার এমনিতেই এড়িয়ে চলা ভালো। আর বর্ষার সময় তা একেবারেই দূরে রাখুন। চপ, পেঁয়াজু, পকোড়া একেবারেই খাবেন না। মুখরোচক কিছু খেতে ইচ্ছে হলে বাড়িতে বানানো আলুভাজা খেতে পারেন। বৃষ্টি মানেই ঘরে জমিয়ে বসে পকোড়া আর চা খাওয়া। কিন্তু এই খাবার পাকস্থলির উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে। হজমের সমস্যা হয়।
সামুদ্রিক মাছ : বর্ষায় চিংড়ি, পমফ্রেট ইত্যাদি মাছ ভালোই পাওয়া যায়। কিন্তু এই বর্ষা মাছেদের প্রজননের জন্য আদর্শ। তাই এই সময় উন্নত মানের মাছ পাওয়া যায় না। যেগুলো পাওয়া যায় তা খেলে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ফিশ তন্দুরির দিকে মন থাকলেও চোখ ফিরিয়ে নিন।
Advertisement
আগে থেকে কেটে রাখা ফল : এই সময় আগে থেকে কেটে রাখা ফল খাবেন না। কাটা ফল বাইরে থাকলেই বাতাসের সংস্পর্শে তার উপর নোংরা ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। তা চোখে দেখা যায় না। না জেনেই আমরা খেয়ে ফেলি। তরমুজ, বেদানায় এই সমস্যা বেশি হয়।
কোল্ড ড্রিংক : বর্ষার সময় কোল্ড ড্রিংক এড়িয়ে চলুন। এই কোল্ড ড্রিংক আমাদের শরীরে খনিজের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে এনজাইমগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এতে মারাত্মক হজমের সমস্যা তৈরি হয়। এমনকী পেটে ইনফেকশনও হতে পারে।
এইচএন/জেআইএম
Advertisement