ধর্ম

মক্কায় হজ-ওমরাহ পালনকারীদের যে বৈধ কাজও নিষিদ্ধ

হজ ইসলামের অন্যতম রোকন। যা আর্থিক ও শারীরিক সামথ্যবানদের জন্য জীবনে একবার আদায় করা ফরজ। এ হজ ও ওমরা প্রথমত আর্থিক এবং দ্বিতীয় শারীরিক সক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই হজ কিংবা ওমরার সফরে কাবা শরিফের সীমানায় এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যে কাজের কারণে হজ ও ওমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Advertisement

হজ পালনকারীদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাদের ওপর হজ ফরজ নয় কিন্তু অনেক কষ্ট করে টাকা সংগ্রহ করে হজ পালন করতে যায়; তাদের জন্য সতর্কতার সঙ্গে হজ সম্পাদন করা অনেক বেশি জরুরি। কারণ হজ ফরজ না হওয়ার পরও যেহেতু সে হজের নিয়তে বের হয়ে যাবে, তখন তা আদায় করতে হবে।

যদি কোনো কারণে হজ পরিপূর্ণ না হয় তবে ওই ব্যক্তির সামথ্য থাকুক আর না থাকুক পুনরায় তাকে হজ পালন করতে হবে। নতুবা তার ওপর হজের এ ফরজিয়ত থেকে যাবে।

কাবা শরিফের নির্ধারিত সীমানা বা এরিয়া রয়েছে। যেখানে অনেক হালাল বা বৈধ কাজও করা যাবে না। ‘হারাম শরিফের’ সীমানার মর্যাদা রক্ষার্থে যে কাজগুলো করা যাবে না। তাহলো-

Advertisement

আরও পড়ুন > হারাম শরিফের বৈশিষ্ট্য ও সীমানা

>> শিকারযোগ্য যে কোনো হালাল জানোয়ার শিকার করা নিষিদ্ধ।>> শিকারযোগ্য হালাল প্রাণী শিকারের জন্য অস্ত্র সরবরাহ কিংবা ইসারা-ইঙ্গিতে দেখিয়ে দেয়ার সাহায্য করাও নিষিদ্ধ।>> হারাম সীমানায় গাছ কাটা এমনকি তাজা ঘাস কাটা বা ছেঁড়াও নিষিদ্ধ।>> হারাম সীমানায় কোনো জিনিস পড়ে থাকলে সেটা ওঠানোও যাবে না। তবে ওই ব্যক্তি তা ওঠাতে পারবেন; যে ব্যক্তি তার প্রকৃত মালিকের নিশ্চিত সন্ধান দিতে পারবেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-‘এই শহর অর্থাৎ মক্কা নগরী আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার কেয়ামতের দিন পর্যন্ত হারাম। উহার গাছ কাটা যাবে না, শিকারযোগ্য জানোয়ারকে (শিকারে উদ্দেশ্যে) তাড়ানো যাবে না এবং তাজা ঘাস কাটা যাবে না; পড়ে থাকা দ্রব্য-সামগ্রীও ওঠানো যাবে না; কেবল ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে উহার হারানো বস্তু সম্বন্ধে যথারীতি প্রচার ও ঘোষণা করতে প্রস্তুত থাকবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

এমনি ভাবে-পবিত্র কাবা শরিফ ও মসজিদে হারাম এলাকাই এসব কাজের জন্য হারাম নয় বরং মিনা, মুজদালিফাও হারাম সীমানার অন্তর্ভূক্ত। তবে আরাফাতের ময়দান হারাম সীমানার অন্তর্ভূক্ত নয়।

Advertisement

আরও পড়ুন > মাদিনা মুনাওয়ারার বৈশিষ্ট্য ও সীমানা

সুতরাং আল্লাহর মেহমানদের এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। যাতে কোনোভাবেই হারাম সীমানার পাশাপাশি হজের দিনগুলোতে এবং ওমরা পালনের সময় উল্লেখিত কাজগুলো তাদের দ্বারা সংঘটিত না হয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজ ও ওমরা পালনের নির্ধারিত দিন ও সময়ে হারাম সীমানায় হারামের মর্যাদা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। হারাম সীমানা নিষদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমকেএইচ