দেশজুড়ে

বি.বাড়িয়ায় ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে গরু চুরি

মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। তবে এ ঈদকে সামনে রেখে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী শরীফপুর ও লালপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম এবং বিজয়নগর উপজেলার তিতাস নদীর তীরবর্তী সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন, হরষপুর ইউনিয়ন, চান্দুরা ও পাহাড়পুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে গরু চুরির মাত্রা বেড়ে গেছে। এর ফলে রাত জেগে গরু পাহাড়া দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি গরু চুরি ঠেকাতে গ্রাম পুলিশ এবং থানা পুলিশও রাতে তাদের নিরাপত্তা টহল জোরদার করেছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে গরু চোরেরা এখন অনেকটাই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত দুই মাসে আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া, শরীফপুর, চিলোকূটপাড়া ও লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর, টানপাড়া, নোয়াগাঁও গ্রামে এবং বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সিঙ্গারবিল, কাশিনগর, মেরাশানী ও কাশিমপুর, পাহাড়পুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর, হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া ও বুল্লা, চান্দুরা ইউনিয়নের কালিশীমা গ্রাম থেকে শতাধিক গরু চুরি হয়েছে। চুরি করা এসব গরু নিয়ে চোরেরা খুব সহজেই নৌকা দিয়ে মেঘনা নদী এবং তিতাস নদী পার হয়ে তাদের গন্তব্যস্থলে পালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা। তাই স্থানীয় এলাকাবাসীরা এখন রাত জেগে তাদের গরু পাহাড়া দিচ্ছেন।কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তারা জাগো নিউজকে জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোর চক্র। চোরদের টার্গেট মেঘনা ও তিতাস নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো। প্রায় প্রতি রাতেই হানা দিয়ে গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোর চক্র। এর ফলে এখন রাত জেগে নিজেদের গরু পাহাড়া দিচ্ছেন তারা।শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈফ উদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, গরু চুরি ঠেকাতে প্রতি রাতেই শরীফপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে পুলিশ পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং বিষয়টি উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা সভায়ও আলোচনা হয়েছে।পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাঈনুদ্দিন চিশতি জাগো নিউজকে জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে গরু চুরি ঠেকাতে রাতের বেলা স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশও পাহারা দিচ্ছে।এদিকে জেলার বিজয়নগরে চুরি হওয়া ছয়টি গরু উদ্ধারসহ গরু চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সরাইল উপজেলার রাজামাইরাকান্দি গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৬), বিজয়নগর উপজেলার গোয়ালমোড়া গ্রামের মৃত দারু মিয়ার ছেলে পিছন মিয়া (৪৫), বোয়ালখোলা গ্রামের সামুন আলীর ছেলে আবদুল আহাদ (২৮), দত্তখোলা গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে নাসির উদ্দিন (৪৮) ও আহমদ আলীর ছেলে ফারুক মিয়া (৩০)।এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আল মামুন জাগো নিউজকে বলেন, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর উপজেলায় গরু চুরি বন্ধে রাতে পুলিশি নিরপত্তা টহল আরো জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি গরু চোর চক্রের সব সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমজেড/এমএস

Advertisement