আগের হিসাব বছরের ধারাবাহিকতায় ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে বড় ধরনের লোকসানে রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের প্রতিষ্ঠান মিথুন নিটিং। সেই সঙ্গে পড়েছে নগদ অর্থ সংকটে।
Advertisement
কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেয়া আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৫৯ পয়সা।
এদিকে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যবসা করে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা।
Advertisement
কোম্পানিটির পরিচালন নগদ প্রবাহের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো বা পরিচালন নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ টাকা ৮ পয়সা।
অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হওয়ায় নগদ টাকার সংকট দেখা দেয়। যে প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ ফ্লো যত বেশি ঋণাত্মক, ওই প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ সংকট তত বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি প্রতিষ্ঠানের অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়লে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যবসা পরিচালনায় নানামুখী সমস্যা দেখা দেয়। সময়মতো পাওনা পরিশোধ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
শুধু ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে নয়, আগের বছরেও এ প্রতিষ্ঠানটির ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক ছিল। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক ৩৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির নগদ অর্থ সংকটের পরিমাণ আরও বেড়েছে।
Advertisement
লোকসান ও ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হওয়ার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য আগের বছরের তুলনায় কমেছে। ২০১৯ সালের মার্চ শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৫২ পয়সা, যা ২০১৮ সালের জুন শেষে ছিল ১৯ টাকা ৭৫ পয়সা।
এমএএস/বিএ/এমকেএইচ