আবাহনী ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। শিরোপা ধরে রাখার যে লড়াই করছে আবাহনী সেখানে তাদের কাজ বলতে নিজেদের বাকি ম্যাচগুলো জেতা। বাকিটা নির্ভর করছে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচগুলোর ফলাফলের ওপর। আর ব্রাদার্সের চ্যালেঞ্জ অবনমন ঠেকানো। গুরুত্ব দুই রকম হলেও দুই দলের লক্ষ্যই ছিল জয়। আর সে লক্ষ্যটা ভালোভাবেই পূরণ করেছে আবাহনী। ৮ গোলের ম্যাচে আবাহনী মাঠ ছেড়েছে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে।
Advertisement
সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এক সময়ে মনে হয়েছিল আবাহনীকে কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারবে না কমলা জার্সিধারী। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সেটা মনে হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু ব্রাদার্স মরন কামড় দিয়ে ম্যাচে ফিরে আসবে বা আসার অবস্থা তৈরি করবে সেটা ভাবেনি কেউ। কিন্তু বৃষ্টিভেজা পিচ্ছিল মাঠে গোপীবাগের দলটি আবাহনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল ১০ মিনিটের ব্যবধানে তিন তিনটি গোল করে। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেনি তারা। তাই লিগে ১১ নম্বর হারের লজ্জায় মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়েছে ব্রাদার্স।
কিক-অফের মাত্র ৫৩ সেকেন্ডের মধ্যেই লিড নেয় আবাহনী। বাম প্রান্ত থেকে জুয়েল রানার বাড়ানো বলে গোল করেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। সেই জুয়েল রানাই ১৩ ও ২২ মিনিটে গোল করলে আবাহনী বিরতিতে যায় ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে। ৭৭ মিনিটে ব্রাদার্সের আক্রমস ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠান আবাহনীর ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা। এ গোলটি পায়ের নিচে যেন মাটি এনে দেয় ব্রাদার্সকে। গোলের দরজা খুলে যাওয়ার পর রাব্বি ও বাল্লু গোল করে আবাহনী শিবিরে ভয় ঢুকিয়ে দেয় ব্রাদার্স। কিন্তু সানডের জোড়া গোল আবাহনীকে রাখে জয় এনে দেয়।
১৯ ম্যাচ শেষে আবাহনীর পয়েন্ট এখন ৪৮। এখনো তারা ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে এক ম্যাচ কম খেলা বসুন্ধরার চেয়ে। অন্যদিকে, ১৮ ম্যাচে ব্রাদার্সের এটি ১১ নম্বর হার। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন অঞ্চলেই পড়ে থাকলো তারা। ১৩ দলের মধ্যে তাদের অবস্থান এখন ১২ নম্বরে।
Advertisement
আরআই/এসএস/এমকেএইচ