নওগাঁর রানীনগরে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করছে ট্রেন। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সচেতনরা।
Advertisement
জেলার আত্রাই ও রানীনগর উপজেলার ওপর দিয়ে চলে যাওয়া এই রেললাইন ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয়েছে। সেসময় নদী/খালের ওপর ইট দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। রানীনগর উপজেলায় অবস্থিত রতনডাড়া খালের ওপর ২৮৫ নম্বর চকের ব্রিজটিও ওই সময়ে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ব্রিজের মাঝখানের পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ইটগুলো খুলে যাচ্ছে। এ ব্রিজের ওপর দিয়ে উত্তরা, বরেন্দ্র, রূপসা, লালমনি, একতা, পঞ্চগড়, সীমান্ত এক্সপ্রেসসহ দিনে ১৬টি ট্রেন আপ-ডাউন করে। ট্রেনগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। এছাড়া তেলবাহী ট্যাংকার ও যাতায়াত করে। ইটগুলো খুঁলে যাওয়ায় অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে ব্রিজটি।
রুহুল আমিন সৈকত নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ব্রিটিশ আমলে চকের ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে ব্রিজের মাঝখানের পিলারের নিচ থেকে ইটগুলো খুলে পড়ে গর্ত হয়ে গেছে। কোনো রকমে পিলারগুলো দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে রেল কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
আত্রাই আহসানগঞ্জ স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, চকের ব্রিজের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
Advertisement
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার খন্দকার শহীদুল ইসলাম বলেন, যদি কোনো ব্রিজ ঝুঁকি বলে মনে হয় সেখানে একটি নির্দিষ্ট গতিসীমা চিহ্নিত করা হয়। যখন ঝুঁকি মনে হয় তখন ১৬ কিলোমিটার গতিসীমা লেখা থাকে। আর যদি একেবারে ঝুঁকি মনে হয় তখন ব্রিজে আমরা আলাদা (এক্সটা) গার্ডার দিয়ে দিই। এছাড়া আমাদের কিম্যান (লাইন তদারক) নিয়মিত রেললাইন তদারকি করে থাকেন। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ছোট-বড় যতগুলো ব্রিজ আছে সবগুলো নিরাপদ। যাত্রীদের জন্য যতটুকু নিরাপত্তার প্রয়োজন ততটুকু নিশ্চিয়তা (ইনশিয়র) দেয়ার পর আমরা ট্রেন ছাড়ি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী ‘উপবন এক্সপ্রেসের’ ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে খালে ছিটকে পড়ে।
আব্বাস আলী/এমবিআর/জেআইএম
Advertisement