চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে নীতিমালা না হওয়ায় এখনো কার্যকর না হওয়া এটি খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে বলে জানা গেছে। এর ফলে বছরে ২ থেকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত রেমিট্যান্স বৈধ চ্যানেলে আসবে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
Advertisement
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দিলে এতে কী ধরনের প্রভাব পড়বে -বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রেমিট্যান্সে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হলে হুন্ডি ব্যবসা নিরুৎসাহিত হবে। ফলে চলতি হিসাব তথা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে। এতে আরও বলা হয়, প্রণোদনা দেওয়ার ফলে বছরে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসবে। এ ক্ষেত্রে প্রণোদনা বাবদ সরকারের ব্যয় হবে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা।
তবে এ প্রতিবেদনে মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ৭০ থেকে ৮০ লাখ অ্যাকাউন্টে রেমিট্যান্সের প্রণোদনা বাবদ অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা করা।
Advertisement
নতুন বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে গত ১ জুলাই থেকে। তবে ঘোষণা অনুযায়ী প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দেওয়া এখনো শুরু হয়নি। এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা না থাকায় ঠিক কবে থেকে ভর্তুকি দেওয়া শুরু হবে, সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারেনি অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
নীতিমালা প্রণয়নে দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চললেও তা প্রণয়নের কাজ এখনো শুরু হয়নি। ১৮ জুলাই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চীন থেকে দেশে ফেরার পর তার সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালা তৈরি করে তা জারি করা হবে। তাতে চলতি মাসে প্রণোদনা দেওয়ার কোনো সুযোগ দেখছেন না কর্মকর্তারা।
ঈদুল আযহার আগে প্রণোদনা দেওয়া শুরু করা যাবে কি না, তাও বলতে পারেননি মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, নীতিমালা জারি করতে আগামী মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যেদিন নীতিমালা জারি করা হবে, সেদিন থেকেই তা কার্যকর হবে।
এমইউএইচ/আরএস/এমকেএইচ
Advertisement