জাতীয়

রিকশা চালাতে না দিলে ভাত দিবে কে?

‘দেশে কাজ নাই; মা, বৌ, বাচ্চা রেখে ঢাকায় আইছি। পেটের দায়ে এখানে রিকশা চালাই। এখন যদি রিকশা বন্ধ করে দেয় তাইলে ভাত দিবে কে?’

Advertisement

এভাবেই বলছিলেন কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় আসা রিকশাচালক হাফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘মেয়র ঘোষণা দিছে মেন সড়কে রিকশা উঠতে দিবে না তাইলে আমরা চালামু কই। রিকশা না চালাইতে দিলে কাজ দেন। নইলে আমরা কী করে খামু।’

কবির নামের অপর এক রিকশাচালক বলেন, ‘সরকার ঘোষণা দিছে মেইন রোডে রিকশা চলবে না। তাহলে চালামু কোথায়? গলিতে চলে ব্যাটারির রিকশা। সরকার অবৈধ রিকশা বন্ধ না করে আমাদের রোড বন্ধ করছে। অবৈধ রিকশা বন্ধ করেন। আমাদের গাড়ি চালাতে দেন। দয়া করে আমাদের পেটে লাথি মারবেন না।’

রাজধানীর মূল সড়কে রিকশা চলাচলের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছেন রিকশাচালক-মালিকরা। মুগদা, মানিকনগর, মান্ডাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার সড়কে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

Advertisement

সোমবার সকাল ৭টা থেকে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। রিকশার চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রিকশামালিকরাও।

মুগদা থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, মুগদা বিশ্বরোড থেকে মানিকনগর বিশ্বরোড পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে অবস্থান নিয়েছেন রিকশাচালক ও মালিকরা। তাদেরকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বললেও তারা সরে যায়নি। তবে তাদেরকে সরাতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বেলা সাড়ে ১১টা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাস্তা থেকে সরে যাননি রিকশাচালকরা।

এদিকে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যাত্রাবাড়ী থেকে মালিবাগ পর্যন্ত মেইন সড়কের রাস্তা বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘপথ হেঁটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ফলে সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে পারছেন না অনেকে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদেরও যেতে হচ্ছে হেঁটে।

Advertisement

এসআই/বিএ/পিআর