কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গ্যাসের দাম বেশ কয়েকবার বেড়েছে এবং প্রতিক্রিয়াও হয়েছে যে দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। স্বীকার করি দাম বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Advertisement
রোববার (৭ জুলাই) জাতীয় সংসদের বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের পক্ষে সংসদে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জাসদের সংসদ সদস্য শিরীন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ড. রাজ্জাক বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস, কয়লা বা ডিজেল লাগে। এতে অনেক ভর্তুকি দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে চিন্তা করতে হবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে কিছুটা দাম বাড়লেও এর নানামুখী প্রভাব, অর্থাৎ শিল্পকারখানা স্থাপনসহ সার্বিক অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে, সেটা বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, সবসময় যদি সরকারকে ভর্তুকি দিতেই হয় তাহলে অন্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। কাজেই সবদিক বিচার-বিবেচনা করে দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে কিছু কিছু মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরোক্ষভাবে আমরা সবাই লাভবান হবো। সার্বিক অর্থনীতির ওপরে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, দেশে শিল্পকারখানা গড়ে তোলা বড় প্রয়োজন। ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করছে। তারা লেখাপড়া শেষে কিন্তু গ্রামে গিয়ে কৃষি কাজ করবে না। তাদের জন্য চাকরি দরকার। সেই চাকরির জন্য শিল্পকারখানা দরকার। আর শিল্পকারখানার জন্য সব থেকে বড় অন্তরায় জ্বালানি। আমরা এখন এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সরবরাহের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট আসছে। বেসরকারি খাতের সামিট পাওয়ার ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট আনছে। ফলে অনেকটা স্বস্তি এসেছে।
এইচএস/এএইচ/এমএস