স্বাধীন বাংলাদেশে এক চরম বিভ্রান্তির সময় শহীদ জননী জাহানারা ইমাম আলোর দিশারীর ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি তার জীবদ্দশায় যে জাগরণ সৃষ্টি করে গেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মৌলবাদমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাংলাদেশ গড়তে শহীদ জননীর সেই জাগরণের চেতনাকে ধরে রাখতে হবে।
Advertisement
জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ জুলাই শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, নিউ ইয়র্ক চ্যাপ্টারের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব বলেন।
নগরীর জ্যাকসন হাইটসের তিতাস রেস্টুরেন্টে আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, নিউ ইয়র্ক চ্যাপ্টারের সভাপতি ফাহিম রেজা নূর। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার মধ্য দিয়ে জাতি সময়ের সীমানা পেরিয়ে শহীদ জননীকে স্মরণে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা।
নেতারা বলেন, শহীদ জননী একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, ঘাতক-দালালদের বিচারের পাশাপাশি একটি শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আমৃত্যু লড়াই করেছেন এবং জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত জাহানারা ইমাম তার সংকল্পে অবিচল ছিলেন। সভায় শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী আগামীতে আরও বড় করে পালনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তার জীবন ও আদর্শকে তুলে ধরার প্রস্তাব করেন উপস্থিত নেতারা।
Advertisement
আলোচনা সভায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের নবগঠিত উপদেষ্টা মণ্ডলী ও কার্যকরী কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় এবং কমিটির ভবিষ্যৎ কার্যবিধি ও পরিকল্পনা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়।
সভায় বক্তব্য দেন উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য যথাক্রমে প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মুহাম্মদ উল্লাহ, চলচ্চিত্রকার কবির আনোয়ার, সাংবাদিক ফজলুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সউদ চৌধুরী ও সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ, সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা নিপা, সহ-সাধারণ সম্পাদক শুভ রায় ও আহনাফ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সান্যাল, সদস্য জাকিয়া ফাহিম, ওবায়দুল্লাহ মামুন, আল আমিন বাবু, প্রমুখ।
এমআরএম/এমএস
Advertisement