ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের মাত্রা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান। ২০১৫ সালে ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তিতে তেহরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সর্বোচ্চ মাত্রা বেধে দেওয়া হয়েছিল। ওই মাত্রা অতিক্রম করতে যাচ্ছে তেহরান।
Advertisement
রোববার ইরানের উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এক ঘোষণায় বলেন, ইরান বরাবরই পরমাণু চুক্তি রক্ষার চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের নিজেদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে।
গত বছর এই পরমাণু চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই ইরানের ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে ওয়াশিংটন।
গত মে মাসে এক ঘোষণায় নিজেদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কথা জানিয়েছিল ইরান। এই ইউরেনিয়াম পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে এগুলো পারমাণবিক বোমা তৈরির ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়।
Advertisement
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করে ইতোমধ্যেই নিজেদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের মাত্রা বাড়িয়েছে ইরান। তবে এই ইউরেনিয়াম পরমাণু অস্ত্রের জন্য ব্যবহৃত হবে এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে তেহরান।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস আরাকচি বলেন, আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের বেশি বাড়ানো হবে। ইরানের বুশেহর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি সরবরাহের জন্যই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের মাত্রা বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ইরানের এক কর্মকর্তা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৫ শতাংশে উন্নীত করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন। পরমাণু অস্ত্র বানাতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৯০ শতাংশ বা তার বেশি হতে হয়।
পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার এক বছর পূর্তিতে নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়ানোর উপায় বের করতে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০ দিনের সময় বেধে দিয়েছিল ইরান। কিন্তু ওই সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি ইউরোপীয় দেশগুলো। এর মধ্যেই ইরানের কাছ থেকে এমন ঘোষণা এলো।
Advertisement
টিটিএন/এমএস