পরের কোপা আমেরিকা খেলবেন কি লিওনেল মেসি? এ প্রশ্নের উত্তর সময়ই বলে দেবে। তবে এ সময়ে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকার সর্বশেষ কোপা যে হতাশায় কাটলো সেটাই এখন চির সত্য। তিনি না পেরেছেন আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করতে, না পেরেছেন দলকে ফাইনালে তুলতে। উল্টো রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে গতকাল টুর্নামেন্টের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ১৪ বছর পর তিনি পেলেন লাল কার্ড!
Advertisement
যদিও চিলির বিরুদ্ধে যে অপরাধে রেফারি মেসিকে লালকার্ড দেখিয়েছেন তা অনেকটাই অগ্রহযোগ্য। বিতর্কিত তো বটেই। আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে তৃতীয় হলেও পদক বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন মেসি।
কেবল নীরব প্রতিবাদ করেই নয়, ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবল কর্তৃপক্ষ কনমেবলকেও ধুয়ে দিয়েছেন এই বার্সা তারকা ফুটবলার। এবারের কোপা আমেরিকাকে দূর্নীতি ও পক্ষপাতমূলকে ভরা বলেছেন মেসি। কোনো রাগঢাক না রেখেই তিনি আরও বলেন, ‘ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্যই সব হচ্ছে।’
এর আগে, সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হারার পর রাগ আর ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন মেসি। রেফারির পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে তখনই তীব্র সমালোচনা করেন আর্জেন্টিনাইন অধিনায়ক। আর এর পরের ম্যাচেই তাকে দেখতে হলো লালকার্ড।
Advertisement
এদিকে গত দুই ম্যাচের পর রেফারিদের নিয়ে মেসি যে তীব্র সমালোচনা করেছেন তার জবাব দিয়েছে কনমেবল। সেটাও আবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে। যে বিবৃতিতে কনমেবল মেসির মন্তব্যগুলোকে বলেছে অগ্রহনযোগ্য ও ভিত্তিহীন।
বিবৃতিতে কনমেবল জানায়, ‘ফুটবলে আপনি কখনো জিতবেন, কখনো হারবেন। সম্মানের সঙ্গে সে ফল মেনে নেয়াই ফেয়ার-প্লের অন্যতম অংশ। এটা রেফারির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সব সময় সবকিছু সুচারুভাবে সঠিক নাও হতে পারে। মেসির এ ধরনের মন্তব্য অগ্রহনযোগ্য। কারণ, ১২ জাতির এ প্রতিযোগিতায় সবার জন্যই সমান নিয়ম। এমন মন্তব্য টুর্নামেন্টের প্রতি সম্মান না থাকাটা বোঝায়।’
আরআই/এসএস/জেআইএম
Advertisement