জাতীয়

যাত্রাবাড়ীতে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক, কোথাও যানজট

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আধাবেলা হরতালে রাজধানীর অন্যতম প্রবেশদ্বার যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। উল্টো এসব এলাকার কোথাও কোথাও যানজট দেখা গেছে।

Advertisement

অন্যান্য সময়ে রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ, শনির আখড়া, কাজলা বাসস্ট্যান্ডে অফিসমুখী মানুষের ভিড় দেখা গেলেও আজ হরতালের দিনে সেই পরিস্থিতি ছিল না। পর্যাপ্ত গাড়ি থাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ আরও নির্বিঘ্নে অফিসে গেছেন নগরবাসী। এমনকি যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায়ও বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে মানুষের ভিড় ছিল না।

সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এসব এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। সকাল ৯টার দিকে রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ফ্লাইওভার দিয়ে গুলিস্তান চলাচলকারী শ্রাবণ পরিবহনের গাড়িগুলো একটু পরপরই আসছে, যাচ্ছে। এই বাসস্ট্যান্ডে অন্যান্য সময়ে অফিসমুখী মানুষের ভিড় এবং গাড়িতে উঠতে হুড়োহুড়ি থাকলেও আজ তা নেই।

গাড়ির বেশি চাপ থাকায় ফ্লাইওভার দিয়ে গুলিস্তান যেতে শনির আখড়া থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

শনির আখড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গুলিস্তান যাবেন ইলিয়াস হোসেন, তিনি গুলিস্তানের একটি মার্কেটের বিক্রয়কর্মী। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই এই রুটে গাড়ির সংকট। আজ হরতালের দিনে তা চরম আকার ধারণ করবে বলে মনে করেছিলাম, কিন্তু রাস্তায় এসে দেখলাম উল্টো চিত্র। সারি বেঁধে বাস দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু যাত্রী কম।’

যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা ঘিরে পোস্তগোলা, ডেমরা ও শহীদ ফারুক সড়ক ও সায়েদাবাদ অংশে গাড়ির চাপ দেখা গেছে। যা মাঝে মাঝেই যানজট সৃষ্টি করছিল। সায়েদাবাদ থেকে যাত্রাবাড়ী আসার সড়কটিতে বেশি গাড়ির জ্যাম দেখা গেছে।

ট্রাফিক পুলিশের ডেমরা জোনের পূর্ব বিভাগের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা জাগো নিউজকে বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী এলাকায় অন্যান্য দিনের মতো গাড়ি চলাচল একেবারেই স্বাভাবিক। আমরা অন্যান্য দিনের মতোই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছি। অনেকে জানেনই না আজ যে হরতাল।’

যাত্রাবাড়ীতে গাবতলী রুটে চলাচলকারী ৮ নম্বর বাস, গাজীপুর রুটের তুরাগ ও রাইদা পরিবহন, মিরপুর রুটে চলাচলকারী খাজাবাবা ও শিকড় পরিবহন, সদরঘাট রুটের রাজধানী পরিবহনসহ বিভিন্ন বাস অন্যান্য দিনের মতো চলাচল করছে বলে ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন।

Advertisement

আরএমএম/বিএ/জেআইএম