গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের ডাকা হরতাল শেয়ারবাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলেনি। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) স্বাভাবিক লেনদেন চলছে।
Advertisement
গত ৩০ জুন সরকারের পক্ষ থেকে গ্যাসের মূল্য দুই চুলায় ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ এবং এক চুলার জন্য ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ৯৫০ টাকা করার ঘোষণা দেয়া হয়। সরকারের নির্দেশ ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার (৭ জুলাই) দেশব্যাপী অর্ধবেলা হরতাল ডাকে বাম জোট। পূর্বে ঘোষণা দেয়া সময় অনুযায়ী সকাল ৬ থেকে হরতাল শুরু হয়েছে, যা বেলা ২টা পর্যন্ত চলবে।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের ডাকা হরতাল পালিত হলেও শেয়ারবাজারের লেনদেনের ক্ষেত্রে তার কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। যথারীতি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়েছে।
Advertisement
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান বলেন, ‘হরতালের কারণে অতীতে কখনো শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকেনি। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারের লেনদেনের সঙ্গে ব্যাংকের সম্পর্ক রয়েছে। ব্যাংক বন্ধ থাকলে শেয়ারবাজারের লেনদেন চালানো সম্ভব হয় না।’
বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ঘুরে দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের লেনদেন অংশগ্রহণ করছেন। তবে ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম।
মনির হোসেন নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘অতীতে অনেক হরতাল দেখেছি, কোনোদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকেনি। বরং হরতালের দিন শেয়ারবাজারে চাঙাভাব বেশি থাকতে দেখেছি। আজ লেনদেনের শেষ পর্যন্ত কী হয় দেখা যাক!’
Advertisement
এই বিনিয়োগকারী বলেন, ‘বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য বেশ কিছু প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এরপরও শেয়ারবাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে। বাজারে যতই মন্দাভাব থাকুক আমি নিয়মিত ব্রোকারেজ হাউসে এসে লেনদেন করার চেষ্টা করি।’
এমএএস/এসআর/জেআইএম