খেলাধুলা

প্রবাসীদের অকুণ্ঠ সমর্থন পাওয়া টাইগাররা লন্ডন ছাড়ল নীরবে-নিভৃতে

ধরা যাক, মাশরাফির দল দেশবাসী, ভক্ত ও সমর্থকের লালিত স্বপ্ন পূরন করে পৌঁছেছে এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। ৯ জুলাই ভারতের সঙ্গে সেমিফাইনাল খেলছে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা! তবে দেশে অবস্থাটা এখন কেমন থাকতো? সারা দেশে টাইগারদের জন্য উষ্ণ সংবর্ধনার আয়োজন করা হতো কি-না? হয়তো বিমানবন্দরে লাল-গালিচা সংবর্ধনাও পেতেন ক্রিকেটাররা।

Advertisement

কিন্তু তা আর হলো কই? শেষ দুই ম্যাচে ভারত আর পাকিস্তানের কাছে হারের পর তো শেষ চার বহুদূরে থাক পাঁচ, ছয় এমনকি সাতেও জায়গা হয়নি বাংলাদেশের। ৮-এ থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে টাইগাররা।

অবশ্য মাশরাফি, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য, মোসাদ্দেক, মোস্তাফিজ, রুবেল আর সাইফউদ্দীনরা যখন কোচ স্টিভ রোডসকে নিয়ে টিম হোটেল ছাড়লেন, তখনো অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিন আফ্রিকা ম্যাচ শেষ হয়নি। তাই টাইগারদের জানা ছিল না, তাদের শেষ পরিণতি ও অবস্থান আসলে কি!

তবে এটা ঠিক, টিম বাংলাদেশ শুরু থেকে ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচের আগে যে নজরকাড়া ক্রিকেটটা খেলেছে, তাদের শেষটা তেমন উজ্জ্বল হয়নি। আর জাতীয় দলের লন্ডন ছেড়ে যাওয়াটাও তাই কেমন যেন পানসে, ফিকে। এতটুকু আড়ম্বর নেই।

Advertisement

যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতি ম্যাচে প্রিয় জাতীয় দলকে অনুপ্রাণিত করতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন, লাল সবুজ পতাকা হাতে আর জার্সি গায়ে প্রতিটি ভেন্যু ঘুরে- বেড়িয়েছেন, সেই ভক্ত ও সমর্থকদের কেউ আসেননি দলকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানাতে।

শুধু লন্ডন প্রবাসী এক মা আর তার ছেলে প্রত্যয়ী হক সেই বেলা তিনটা থেকে মাশরাফিদের বাস হোটেল ছাড়ার পর পর্যন্ত থাকলেন আর সবাইকে হাসি মুখে বিদায় সম্ভাষণ জানালেন। এছাড়া মিরাজসহ আরও দু-একজন ক্রিকেটারকে বিদায় জানাতে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা এসেছিলেন টিম হোটেলে। তাদের সংখ্যা সব মিলে জন দশেকের বেশি নয়।

মোদ্দা কথা, প্রায় নীরবে-নিঃশব্দে লন্ডন ছাড়লো মাশরাফির দল। শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২০ মিনিট (বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা ২০ মিনিট) এমিরেটসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে দল। যাত্রাপথে দুবাইতে ট্রানজিট করে পরে ঢাকায় আসবেন তারা। দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রোববার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ২০ মিনিট রাজধানীর হযরত শাহজালাল (র) বিমানবন্দরে অবতরণ করবে টাইগাররা।

এদিকে দল লন্ডন ছাড়ার সময় বোর্ড পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ছাড়া আর কোনো বোর্ড কর্তার দেখা মেলেনি। একমাত্র সাজ্জাদুল আলম ববিই ক্রিকেটারদের বিদায় বেলার সঙ্গী হয়েছেন। শীর্ষ কর্তাদের অনেকে লন্ডন থাকলেও দলকে বিদায় জানাতে কেউ হোটেলে আসেননি। পরিচালকদের অনেকেই লব্ধ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাদের কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে লন্ডনে থাকা বিসিবি সিইও টিম হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করে অন্তত বিদায়ী সম্ভাষণ জানাতে পারতেন। কিন্তু তাকেও দেখা গেল না হোটেলের কোথাও!

Advertisement

এআরবি/এসএস/জেআইএম