দেশজুড়ে

মা ডেকে নিল, ছেলে ধর্ষণ করল

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকীরচর এলাকায় ৬ বছরের এক শিশুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার সকালে নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা বাদী হয়ে প্রতিবেশী পান্নু মোল্লার ছেলে আজিজুল হককে (১৯) আসামি করে গৌরনদী থানায় মামলা করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপরে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত আজিজুল হক শুক্রবার বিকেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

গৌরনদী থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. তৌহিদুজ্জামান এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, আসামি আজিজুল হক ও শিশুটির বাড়ি পাশাপাশি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে দুপুরের খবার খাচ্ছিল শিশুটি। এ সময় আজিজুলের মা চায়না বেগম শিশুটিকে তরকারি দেয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যায়।

Advertisement

দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও শিশুটি ফিরে না আসায় তার মা-বাবা খুঁজতে বের হয়। খুঁজতে গিয়ে আজিজুলদের বাথরুমের পাশে কাদামাখা অবস্থায় দেখতে পায় তাকে। কাদা লাগার কারণ জানতে চাইলে শিশুটি বাবা-মাকে জানায় ‘আজিজুল তাকে ডেকে বাথরুমের পাশে নিয়ে খারাপ কাজ করেছে।’

এ সময় আজিজুলের মা চায়না বেগমকে শিশুটির মা-বাবা বিষয়টি জানান। চায়না বেগম তার ছেলেকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে সে। এরপর চায়না বেগম তার ছেলের বিচার করার আশ্বাস দিয়ে দ্রুত শিশুটিকে গোসল করায় এবং জামা-কাপড় ধুয়ে দেয়।

এদিকে শিশুটির ব্যথা ও রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ঘটনার একদিন পর শুক্রবার চায়না বেগম ছেলের বিচার না করে উল্টো প্রভাবশালী বিভিন্ন লোক দিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। হুমকির মুখে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছিল তার বাবা-মা।

কিন্তু শুক্রবার বিকেলে শিশুটির ব্যথা ও রক্তক্ষরণ বাড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা শিশুটির অবস্থা গুরুতর দেখে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে মেয়েকে বরিশালে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে গৌরনদী থানা পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়।

Advertisement

সেকেন্ড অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামান জানান, হাসপাতাল থেকে জানালে তাৎক্ষণিক শিশু ও তার বাবা-মায়ের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়। পরে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে শিশুটির মা বাদী হয়ে আজিজুলকে আসামি করে মামলা করেছেন। আজিজুলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

সাইফ আমীন/এফএ/এমকেএইচ