জীবন ও সম্পদ মহান আল্লাহর দান ও নেয়ামত। এ নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা সবার জন্যই জরুরি। তাইতো আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর দেয়া অর্থ থেকে তাঁরই পথে খরচ করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন।
Advertisement
আর যাদের অর্থ-সম্পদ নেই, তাদের জন্যও রয়েছে সাদকা আদায়ের ব্যবস্থা। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে সব সাদকার কথা উল্লেখ করেছেন।
হাদিসে ঘোষিত কাজের মাধ্যমে প্রতিদিনের সাদকার ধন-ভাণ্ডার শুধু গরিবদের জন্যই নয়, বরং সবার জন্য। যারা এ কাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করবে, তারা পেয়ে যাবেন অসংখ্যা সাদকার সাওয়াব। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করলেন, ‘প্রতিদিন মানুষের ওপর নিজের জন্য সাদকা করা আবশ্যক। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কোথা থেকে সাদকা আদায় করবো, আমাদের তো সম্পদ নেই।’রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘নিশ্চয় সাদকা রয়েছে--তাকবির বলায়;- সুবহানাল্লাহ বলায়;- আলহামদুলিল্লাহ বলায়;- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলায়;- আল্লাহু আকবার বলায়;- আসতাগফিরুল্লাহ বলায়।- সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করায়ও রয়েছে সাদকা।রাস্তাঘাটে চলা ফেরায়-- কাঁটা;- হাড্ডি এবং- পাথর সরিয়ে দেয়ায়ও রয়েছে সাদকার সাওয়াব।- অন্ধকে রাস্তা দেখিয়ে দেয়া আর- বধির ও বোবাকে কথা বুঝিয়ে দেয়ায়ও রয়েছে সাদকার সাওয়াব।- আবার কোনো প্রয়োজনে কাঙ্খিত বিষয় সম্পর্কে তথ্য দেয়াও সাদকা।- দুঃখী বা ফরিয়াদি ব্যক্তির জন্য কষ্ট বা মেহনত করে জীবিক উপার্জন করাও সাদকা। আবার- দুর্বল ব্যক্তিকে যে কোনো সহায়তায় রয়েছে সাদকার সাওয়াব।এসব সাদকাই তোমার পক্ষ থেকে তোমার নিজেদের জন্য আদায় হয়ে যাবে। পরিণামে সে পাবে সাদকার বিশাল সাওয়াব।
Advertisement
মুসলিম উম্মাহর উচিত হাদিসে ঘোষিত কাজগুলো যথাযথ আদায়ের মাধ্যমে সাদকা মতো মহামূল্যবান ইবাদতে নিজেদের নিয়োজিত রাখা। জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল ও তাওবা ইসতেগফারের মাধ্যমে দুনিয়ার সুন্দর জীবন ও পরকালের সফলতার সুনিশ্চত করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকেউল্লেখিত কাজগুলোর মাধ্যমে শরীরের হক আদায় করে সাদকার সাওয়াব লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম
Advertisement