জাতীয়

পুনর্বাসন ছাড়াই হকার-রিকশা উচ্ছেদের চেষ্টা প্রতিহতের ঘোষণা

হকার সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আবুল হোসেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, হকার ও বস্তিবাসীর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা আদালতের নির্দেশনা অমান্যের সামিল। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন তাই করছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আগে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিন। বিকল্প বন্দোবস্ত করুন। পুনর্বাসন ও বিকল্প বন্দোবস্ত ছাড়া চেষ্টা করেও অতীতের কোনো পুলিশ, মেয়র, সরকার এমনকি সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারও আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে পারেনি এ সরকারও পারবে না।

Advertisement

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার সড়ক থেকে হকার ও রিকশা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন বাংলাদেশ হকার সংগ্রাম পরিষদ। সেখানে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সরকার গঠনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল গরিবদের জন্য বন্দোবস্ত করবে। উচ্ছেদই কী তবে আমাদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের বন্দোবস্ত?

তিনি আরও বলেন, গরিবদের জন্য কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ না করে উল্টো উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র চলছে। প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, গরিব, হকার, বস্তিবাসী রাখবেন না আমরা চলে যাবো।

Advertisement

তিনি বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। অতীতের মেয়র, পুলিশ ও সরকার পারেনি। তত্ত্বাবধারক সরকারও পারেনি। এই সরকারও আমাদের উচ্ছেদ করতে পারবে না। উচ্ছেদের চেষ্টা হলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ডিএনসিসির এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। আজকে এখানে গরিব মানুষের সমাবেশ হচ্ছে। বস্তিবাসীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদের ঘোষণা আদালত অবমাননার সামিল। আমাদের অধিকার আদায়ে প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাব।

হকার সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আরিফ চৌধুরী বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদের অন্নের ব্যবস্থা করি। আমরা ঋণ নেই না। কিন্তু বার বার আমাদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, আমরা বার বার মেয়র, পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। তিন ভাগ থেকে কমিয়ে আমরা এক ভাগ এলাকায় ব্যবসা করতে চেয়েছি। আমাদের ব্যবস্থা করা হয়নি। উল্টো লাঠিপেটা করা হয়েছে।

Advertisement

অপর নেতা কামাল সিদ্দিকী বলেন, ফুটপাতে কোনো রিকশা-হকার থাকবে না এই ঘোষণা দেবার আগে বিকল্প কোনো উদ্যোগ নেয়া হলো না। তাহলে হকার আর রিকশাওয়ালারা যাবে কোথায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, তিনি বিষয়টি অবশ্যই দেখবেন। প্রয়োজনে নীতিমালা তৈরি করুন, আইন করুন, আমরা ভেসে আসিনি। আমাদের পেটে লাথি মারা হলে আমরা প্রতিহত করবো।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে ‘সারা বাংলার হকার এক হও লড়াই করো’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’ স্লোগান দিয়ে মতিঝিল, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, শিল্প এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার হকাররা অংশ নেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হকার সংগ্রাম পরিষদের নেতা সাইজুদ্দিন মিয়া, আবুল কালাম জুয়েল, এমএ খায়ের, আব্দুল মান্নান মো. ইউসুফ।

জেইউ/এসএইচএস/জেআইএম