বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে তিনটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পথে বসতে শুরু করেছে। তিন মাস ধরে ৩১ মে. টন উল সুতা আমদানির পর বেনাপোল শুল্ক কর্তৃপক্ষ ছাড় না দেয়ায় এ অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। তারা বার বার কাস্টম কর্তৃপক্ষের স্মরণাপন্ন হওয়ার পরও বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অবহিত করা হয়েছে বলে দায়সারা জবাব দিয়ে চলেছেন। ফলে একদিকে যেমন আমদানিকারকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অন্যদিকে দীর্ঘদিন বন্দরে পণ্য পড়ে থাকায় এর গুণগত মান নষ্ট হতে চলেছে। কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস সূত্রে জানা যায়- গত ১৪ জুন, ৩০ জুন এবং ৫ জুলাই পৃথক পৃথক তিনটি এলসির বিপরীতে স্বপ্ন ট্রেডার্স, বেনাপোল, অর্ক ট্রের্ডিং শার্শা ও রংপুরের কারুপূর্ণ লি. ভারত থেকে উল সুতার তিনটি পণ্যচালান আমদানি করেন। শুল্ক পরিশোধের আওতায় আমদানিকৃত উলসুতা ছাড় নেয়ার জন্য কাগজপত্র দাখিল করা হলে উল সুতা বেনাপোল দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ থাকার করা বলে ছাড় দেয়া যাবে না বলে কাস্টম কর্তৃপক্ষ জানায়। পরবর্তীতে পণ্য চালানটি সুতা না উল তা অধিকতর নিশ্চিত হবার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় পণ্যটি উল সুতা নিশ্চিত হলেও খালাস প্রদানে গড়িমসি করে তা তিন মাসেও ছাড় দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ সিএন্ডএফ এজেন্ট মালিকদের।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএন্ডএফ এজেন্টের মালিক জানান, উল সুতা আমদানিতে কোন নিষেধাজ্ঞা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের না থাকলেও গত তিনমাস অকারণে পণ্য চালানগুলো আটকে রেখে অহেতুক আমদানিকারকদের হয়রানি করা হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড টেক্সটাইল মিল মালিকদের স্বার্থে কটন সুতা বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ করেছেন। শুধুমাত্র যে সকল সুতা কাউন্টের উপরে শুল্কায়ন হয় সেগুলো বন্ড লাইসেন্স ছাড়া আমদানি নিষিদ্ধ। কিন্তু উল সুতা ইউনিটের উপর শুল্কায়ন করা হয় এবং প্রযোজ্য শুল্ককরাদি পরিশোধ করে খালাস নেওয়া হয়ে থাকে। ইতিপূর্বে উল সুতার অসংখ্য চালান বেনাপোল থেকে খালাসও হয়েছে। কি কারণে এই তিনটি পণ্য চালান আটকে রয়েছে তা তাদের বোধগম্য নয়। রাসায়নিক পরীক্ষায়ও প্রমাণিত হয়েছে এটা কটন সুতা নয়।এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টম হাউজের এক জন ঊর্ধতন কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, শুল্ক পরিশোধের আওতায় বেনাপোল দিয়ে সুতা আমদানি নিষিদ্ধ। যেহেতু আলোচ্য পণ্যটি উল সুতা নামে আমদানিকৃত সে কারণে পণ্য চালানটি খালাস প্রদানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। বোর্ডের দিক নির্দেশনা পাওয়া গেলে পণ্য চালানটি খালাস প্রদানের কোন বাধা থাকবে না। কবে নাগাদ সে নির্দেশনা পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত করে কিছুই জানাতে পারেননি। এসএইচএস/পিআর
Advertisement