আইন-আদালত

এটা ক্যাঙ্গারু কোর্ট নয় : বিচারক

বকশিবাজারের বিশেষ আদালত। যেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার কার্যক্রম চলছে। এ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জামাদার। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে বকশিবাজারের এই বিশেষ আদালতে যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মামলার বিচার কার্যক্রমের সময় আদালতে হট্টগোল হয়। এসময় বিচারক আবু আহমেদ জামাদার বলেন, এক-এগারোর সময় ক্যাঙ্গারু কোর্টে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবীরা যেভাবে আচরণ করেছেন, এখানেও সে ভাবে আচরণ করছেন। এটা কোনো ক্যাঙ্গারু কোর্ট নয়। এটা একটি সাংবিধানিক কোর্ট। আমরা আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না। বৃহস্পতিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণকে কেন্দ্র করে আদালতে দুইপক্ষের আইনজীবীদের মাঝে তুমুল হট্টগোল ও বাক-বিতণ্ডার সময় বিচারক বিএনপির আইজীবীদের উদ্দেশ্য এই মন্তব্য করেন।তিনি আরো বলেন, আমি ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। আমি দুই ঘণ্টা ধরে বিচার কাজ দেখছি। এখানে নিয়ম অনুযায়ী কিছু হচ্ছে না। জব্দ তালিকার একজন সাক্ষী কি কি ডকুমেন্ট দিয়েছেন, কেবল তার তালিকাটুকুই তিনি বলবেন। তার অন্য কোনো কথা গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে শুনানি করে মামলার কার্যক্রম আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণকে কেন্দ্র করে আদালতে দুইপক্ষের আইনজীবীদের মাঝে তুমুল হট্টগোল ও বাক-বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের যুক্তির মুখে এক সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনর্লিখন (রি-রাইট) করেন বিচারক। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গনে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আদালতের ভেতরে ও বাইরে পুলিশ ও র্যা বের কয়েকশ’ সদস্য নিরাপত্তার  দায়িত্বে ছিলেন।জিয়া চ্যারিটেবল মামলার ৩ জন সাক্ষীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরা হলেন পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা এইচ এম ইসমাঈল, জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মকবুল আহমেদ ও ফাহমিদা রহমান। এছাড়া এই মামলার অষ্টম সাক্ষী সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন নি আদালত। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। বিশেষ জজ ৩ নম্বর ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এর আদালত শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানি দিন ঠিক করেন। এফএইচ/এসএইচএস/পিআর

Advertisement