কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও এর চেয়ারম্যানকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করে তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলেছেন আদালত।
Advertisement
হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আজ আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে, বন্দর কর্তৃপক্ষের শুনানিতে ছিলেন এম সালাহউদ্দিন আহমেদ।
গত ৯ এপ্রিল কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আর এস সার্ভে অনুযায়ী দ্রুত ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও এর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্ত ওই আদেশ বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ আনেন রিটকারীর আইনজীবী। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ এই আদেশ দেন।
Advertisement
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিতের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ মোতাবেক জেলা প্রশাসন ২ হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে দেয়া এক রায়ে হাইকোর্ট ৯০ দিনের মধ্যে ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। কিন্ত রায় বাস্তবায়ন হয়নি দীর্ঘদিন।
পরে এ বিষয়ে আদালত অবমাননার মামলা হয়। এমতাবস্থায় গত ৪ ফেব্রয়ারি কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে প্রশাসন।
এফএইচ/এসআর/পিআর
Advertisement