মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পূর্ব সরমঙ্গল এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার নুর হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত নুর হোসেন। বিষয়টি সালিশ-মীমাংসার নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত নুর হোসেন রাজৈর থানার পূর্ব সরমঙ্গল গ্রামের রাজ্জাক মৃধার ছেলে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নুর হোসেন একটি ভ্যান গ্যারেজের ভেতরে নিয়ে ওই ছাত্রীকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় এক নারী মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। শিশুটির মা কিছুদিন আগে মারা গেছে।
এদিকে গত সোমবার ঘটনা ঘটলেও সালিশ-মীমাংসার নামে সময় ক্ষেপণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ মেয়েটির বাবার। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেছে। পরে দেলোয়ার শেখ সালিশ করে দেবে বলে আমাদের হাসপাতালে আসতে দেয়নি। পুলিশকে জানাতেও নিষেধ করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
Advertisement
নির্যাতনের শিকার ওই শিশু বলে, ওইদিন বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টির মধ্যেই ভ্যানের গ্যারেজে নিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেধে আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। কারও কাছে না বলার জন্য হুমকিও দিয়েছে। বললে আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়েছে।
রাজৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। আমাকে কেউ জানায়নি। শিশুটির পরিবারের লোক আসলে মামলা নেয়া হবে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ কে এম নাসিরুল হক/আরএআর/পিআর
Advertisement