জাতীয়

সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহালের দাবি

সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বন্ধ করায় একই ব্যাচ ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বেতন বৈষম্য বাড়বে এবং ক্ষেত্র বিশেষে পদ অবনমন হবে। এ বৈষম্য নিরসনে ঘোষিত বেতন স্কেলে পূর্বের ন্যায় সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহালের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিসিএস সমন্বয় কমিটি।বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিসিএস সমন্বয় কমিটি এ দাবি জানায়। এতে বলা হয়, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিজস্ব ক্যাডার তফসিলের নির্ধারিত পদের (লাইন পদে) বাইরে উপসচিব বা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এ স্তরে অনুমোদিত পদের চেয়ে অতিরিক্ত সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতির মাধ্যমে তাদের উচ্চতর স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আবার পদ না থাকার অজুহাতে অন্যান্য ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের বছরের পর বছর এমনকি একযুগেরও অধিক সময় একই পদে বসিয়ে রাখা হয়। ফলে একই ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বেতন বৈষম্য সৃষ্টি হয়। সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের কারণে সৃষ্ট এ বেতন বৈষম্য নিরসন করার সুযোগ থাকে। বিসিএস সমন্বয় কমিটি আরো জানায়, বেতনস্কেলে মূল বেতনের ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে প্রতিবছর বেতন বৃদ্ধির সুবিধা দেয়া হয়েছে। যে কর্মকর্তা নিয়মিতভাবে পদোন্নতি পাবেন, তিনিও এ সুবিধা পাবেন। নিয়মিত পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতিটি পদোন্নতিতে উচ্চতর বেতনস্কেলে যাবেন এবং ঐ ধাপের মূল বেতনের নির্ধারিত হারে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন। অপরদিকে যে কর্মকর্তার পদোন্নতির সুযোগ নেই তিনি ঐ কর্মকর্তার তুলনায় নিচের স্তরের বেতনস্কেলের নির্ধারিত হারে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন। তাই সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাতিল করা একটি চরম বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত।সংগঠনটি বলছে, সিলেকশন গ্রেড বন্ধ করায় বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে পদ অবনমন হবে। শিক্ষা ক্যাডারে অধ্যাপকগণ চতুর্থ গ্রেডে বেতন পান। এর মধ্যে থেকে ৫০ ভাগ অধ্যাপক সিলেকশন গ্রেড হিসেবে তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত হন। সিলেকশন গ্রেড বন্ধ করায় চতুর্থ গ্রেড থেকেই তাদের অবসরে যেতে হবে। এর প্রতিবাদে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, বিসিএস সমন্বয় কমিটি তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে।এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের ১৭টি সার্ভিসের সেলফ ড্রয়িং কর্মকর্তাদের বেতনভাতা বিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিসিএস সমন্বয় কমিটি তীব্র প্রতিবাদ এবং এ সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানায় বিসিএস সমন্বয় কমিটি। না হলে কমিটি আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলে জানায়। বিসিএস সমন্বয় কমিটি আরো জানায়, বর্তমানে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষের জীবন যাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটেছে। বিসিএস সমন্বয় কমিটির প্রতিটি ক্যডারের নিরলস প্রচেষ্টায় আইন শৃ্ঙ্খলা, আর্থ-সামাজিক, অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। এ সকল অর্জিত সাফল্যকে ব্যাহত করতে মহলবিশেষ এক ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে মাঠ পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যাহত হতে পারে।বিসিএস সমন্বয় কমিটি আরো জানায়- তাদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ১৫ সেপ্টেম্বর বেতনস্কেলের বৈষম্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করা হবে এবং ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।এসএ/এসএইচএস/পিআর

Advertisement