খেলাধুলা

লর্ডসে ভুল, শাহাদাতের কীর্তিনামায় রুবেলের ছবি

বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিব নিজেকে খানিক দূর্ভাগা ভাবতেই পারেন কিংবা তার মন খুব খারাপ হতেই পারে। ক্রিকেট ‘মক্কা’ লর্ডসের মত অভিজাত আর ঐতিহাসিক ভেন্যুর অবাক করা সৌন্দর্য্য, পুরনো ঐতিহ্য লালন করার নানা উপদান দেখে ক্রিকেট অনুরাগী, ভক্ত-সমর্থক মাত্রই মুগ্ধ, বিমোহিত।

Advertisement

এই মাঠের মিউজিয়াম ছাড়াও নানা জায়গায় অনেক পুরনো স্মৃতি আর কীর্তি সংরক্ষিত রয়েছে পরম যতনে। বিশ্বের অন্যতম সেরা এ ক্রিকেট ভেন্যুতে অনেক রথি মহারথির সঙ্গে বাংলাদেশের শাহাদাত রাজীবের নামফলকও করা আছে। এই লর্ডসে তার এক কীর্তির কথা লিখাও আছে।

কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে শাহাদাত রাজিবের বদলে ছবি টানানো আছে বাংলাদেশেরই আরেক পেসার রুবেল হোসেনের। কিন্তু লিখা আছে ‘বেস্ট বোলিং ইন এ টেস্ট ইনিংস ফর বাংলাদেশ এট লর্ডস।’ তবে পাশে যে ছবিটি টানানো আছে, সেটা শাহাদাত হোসেন রাজিবের নয়। আরেক ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেনের।

অথচ লর্ডসের প্রেস কনফারেন্স হল থেকে বেরিয়ে প্রেসবক্সে যেতে মাথার ওপরে নানা নামী ক্রিকেটারের অর্জন আর কীর্তি লিখা, পাশে তাদের ছবি। কারো ছবিতে ভুল নেই। ভুল শুধু শাহাদাত রাজিবের বেলায়।

Advertisement

যেমন আছে এই লর্ডসে ইংল্যান্ডের কোন ব্যাটসম্যান হিসেবে সাবেক ওপেনার ও অধিনায়ক গ্রাহাম গুচের এই মাঠে ট্রিপল সেঞ্চুরির (৩৩৩) কথা লিখা, হায়েস্ট স্কোর ইন এ টেস্ট ইনিংস এট লর্ডস।

এখানে আছে এই ক্রিকেট তীর্থে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের ১৯৭৯ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা ১৩৮ রানের অসামান্য ইনিংসটির কথা। সঙ্গে লেখা হায়েস্ট স্কোর ইন এ ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল বাই এন ওভারসিজ প্লেয়ার্স এট লর্ডস; ১৩৮ ভার্সেস ইংল্যান্ড ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল, ১৯৭৯।

এছাড়া ক্রিকেটের বিস্ময় স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের নাম লিখা আছে, হায়েস্ট স্কোর ইন এ টেস্ট ইনিংস ফর অস্ট্রেলিয়া এট লর্ডস, ভার্সেস ইংল্যান্ড ১৯৩০। ভারতের সাবেক নামী টেস্ট ব্যাটসম্যান ভিনু মানকড়ের নামও অঙ্কিত আছে ‘এম এইচ মানকড়; হায়েস্ট স্কোর ইন এ টেস্ট ইনিংস ফর ইন্ডিয়া, ১৮৪, ১৯৫৪' সালে।

সেখানে এই লর্ডসে শাহাদাত হোসেন রাজিবের আছে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এক ইনিংসের সেরা বোলিং ফিগার ৫/৯৮। যেখানে লিখা আছে, ‘এস হোসেন, বেস্ট বোলিং ইন এ টেস্ট ইনিংস ফর বাংলাদেশ এট লর্ডস এগেইনস্ট ইংল্যান্ড’- কিন্তু ভুলবশত, ছবিটি শাহাদাত রাজিবের নয়, রুবেল হোসেনের। এআরবি/এসএএস

Advertisement