ক্যাম্পাস

জকসু নির্বাচন এ বছর নয় : জবি উপাচার্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এ বছর জবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন সম্ভব নয়। মূলত সমাবর্তনের কারণে এ নির্বাচন সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জকসু নির্বাচনসহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেন তারা। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের ভিসির সঙ্গে কথা বলার জন্য যায়। শিক্ষার্থীরা জকসু নির্বাচনসহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন।

এ সময় উপাচার্য বলেন, এ বছর সমাবর্তন নিয়ে ব্যস্ত থাকব। তাই জকসু নির্বাচন করা যাবে না। সমাবর্তনের পর জকসু নির্বাচন করা হবে।

এর আগে দুপুর ১২টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিজ্ঞান অনুষদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহীদ মিনার, কলা ভবন, টিএসসি, মূল গেট প্রদক্ষিণ করে।

Advertisement

মিছিল শেষে দুপুর ১টা নাগাদ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের কলাপসিপল গেট বন্ধ করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। এ সময় প্রক্টর ছাত্র প্রতিনিধিদের উপাচার্যের কাছে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

আন্দোলনের সমন্বয়কারী রাইসুল ইসলাম নয়ন বলেন, ৭ দফা ছাড়াও আমরা বিভিন্ন বিভাগের সমস্যাগুলো ভিসির কাছে তুলে ধরেছি। তিনি বিষয়গুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। ক্যান্টিন সমস্যা সমাধানে ছাত্রদের নিয়ে ১৩ সদস্যের কমিটি করার কথা বলেছেন। তবে মূল দাবিগুলোর বিষয়ে আমরা এখনও আশ্বস্ত হতে পারিনি।

জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়ার কিছু পর তাদের ভিসির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রদের কিছু দাবি যৌক্তিক। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

উল্লেখ্য, জকসু নির্বাচনসহ ৭ দফা দাবিতে ১ জুলাই উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবিগুলো হলো- সাত দিনের মধ্যে ক্যান্টিনে খাবারের দাম কমিয়ে মান উন্নয়ন, বাসের ডাবল শিফট চালু, সাত দিনে জকসু আইনের খসড়া করে চার মাসের মধ্যে নির্বাচন, দুই মাসের মধ্যে ছাত্রী হল চালু, ৭০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ জবি শিক্ষার্থীদের থেকে, দ্রুত নতুন ক্যাম্পাসের কাজ শুরু, গবেষণায় শর্ত কমানো ও বরাদ্দ বাড়ানো।

Advertisement

ইমরান খান/এএইচ/এমকেএইচ