পঞ্চগড়ে সরকারি অফিসের সেবা পেতে হয়রানি ও দুর্নীতির শিকার মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণশুনানি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার ২২টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের করা ৮২টি অভিযোগের শুনানি শেষে নিষ্পত্তি করা হয়।
স্থানীয় সরকারি অডিটোরিয়ামে এ গণশুনানি করেন দুদকের কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম। এ সময় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার, দুদকের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক মনিরুজ্জামান খান, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমদ, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবু জেকেরসহ সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানি চলাকালে দর্শক সারি থেকে হঠাৎ মঞ্চে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর ছিদ্দিক। নিয়ম অনুযায়ী আগে কোনো অভিযোগ না করলেও মঞ্চে উঠেই তিনি পরিবেশ বিধ্বংসী বোমা মেশিন নিয়ে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ তোলেন। সেই সঙ্গে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে বোমা ফাটান তিনি।
Advertisement
আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, পরিবেশ নষ্ট করে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধে বোমা মেশিন (ড্রেজার) চালিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সবাই জানেন। তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রতিদিন কত টাকা নেন তাও সবাই জানেন। তার এ বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে অডিটোরিয়ামজুড়ে হট্টগোল শুরু হয়।
একপর্যায়ে পরিবেশ শান্ত হলে গণশুনানির মডারেটর ও জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, পাথর উত্তোলনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে একাধিক মোবাইল কোর্টসহ অনেকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে দুষ্কৃতকারীরা যেন সহজে জামিন না পায় এ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া গণশুনানিতে কয়েকটি দফতরের অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অধিকাংশ অভিযোগ তাৎক্ষণিক সমাধানের নির্দেশ দেয়া হয়। তবে জমি সংক্রান্ত কয়েকটি অভিযোগে মামলার পরামর্শ দেয়া হয়।
সফিকুল আলম/এএম/এমকেএইচ
Advertisement