যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন পদ খালি থাকার পর নতুন করে নিয়োগ পাওয়া দুই সৌদি রাষ্ট্রদূত কাজে যোগ দিয়েছেন। পশ্চিমা মিত্র হিসেবে পরিচিত এই দুই দেশের সঙ্গে ইয়েমেন যুদ্ধ এবং সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় সৌদির মদদ দেয়ার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েক মাস ধরে রাষ্ট্রদূতের পদ দুটি ফাঁকা ছিল।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিজের কাগজপত্র মার্কিন সরকারের হাতে জমা দিয়ে ওয়াশিংটনে নিজের কাজে যোগ দিয়েছেন সৌদি আরবের প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত ও রাজকন্যা রিমা বিনতে বান্দার বিন সুলতান। এ ছাড়া যুবরাজ খালিদ বিন বান্দার বিন সুলতান ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র জমা দিয়ে লন্ডনে সৌদি রাষ্ট্রদূতের পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এসপিএ (সৌদি প্রেস এজেন্সি) এর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার উভয় রাষ্ট্রদূত তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেন। সৌদি সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ রেকর্ড নিয়ে চলা উত্তেজনার কারণে দীর্ঘদিন এই দুই দেশে তাদের কোনো রাষ্ট্রদূত ছিল না।
আরও পড়ুন>> অতিরিক্ত মদ্যপান ও যৌনকর্মেই আমিরাতি প্রিন্সের মৃত্যু!
Advertisement
মানবাধিকার লঙঘনের প্রথম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের হামলা। দীর্ঘদিনের এই হামলায় ইয়েমেনের হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়া ছাড়াও ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে দেশটিতে। যার কবলে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য শিশু।
এ ছাড়া চলতি বছরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসল্যুটে ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক জামাল খাশোগিকে হত্যায় যুবরাজ সালমানের জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয় সৌদি আরব। যার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রদূতের পদটি খালি রেখেছিল সৌদি সরকার।
গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদে খালিদ বিন সালমানের স্থলে প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাজকন্যা রিমাকে নিয়োগ দেয়া হয়। তার আগে ওই পদে থাকা খালিদ বিন সালমান সৌদি যুবরাজ ও দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেতা মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাই। তিনি এখন সৌদির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement