আমরা সবসময়ই নিজের এবং প্রিয়জনের ভালোথাকার প্রার্থনা করি। কিন্তু জীবন সবসময় মসৃণ চলবে এমনটা আশা করা বোকামী। উথ্থান-পতন নিয়েই জীবন। আর জীবনের এই অনিশ্চয়তাই জীবনের সৌন্দর্য। কখনো কখনো আপনার মনে হতে পারে, আপনি ভীষণ একা এবং দুখী। আপনি কিছুতেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না!
Advertisement
আপনি হয়তো অন্যদের দেখে ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ছেন, কী করে তারা এত ভালো থাকছেন! তাদের হাসিখুশি থাকার রহস্যই বা কী! না, তাদের কারো জীবনই গল্পের মতো সুন্দর নয়। প্রত্যেক মানুষেরই আলাদা আলাদা দুঃখ, কষ্ট থাকে। কিন্তু তারা সেসব পাশে সরিয়ে রেখেই খুশি থাকার উপায়টা জানেন। জেনে নিন আপনিও-
না বলতে শেখা জরুরিআপনি যদি সোজাসুজি কথা বলতে জানেন, তবে তা আপনার জন্য ভীষণ ইতিবাচক একটি দিক। কারণ সোজাসাপটা না বলতে পারার জন্য অনেককেই পস্তাতে হয়। সোজাসুজি কথা বলতে পারাটা খুব জরুরি। সেখানে কোনো মিথ্যের আশ্রয় নেবেন না। নিজে নিজের সঙ্গে কথা বলুন। নিজেকে বোঝান যে এটা সত্যিই আপনার প্রাপ্য ছিল কিনা। এছাড়াও সেল্ফ মোটিভেশন খুবই জরুরি।
ফোকাস থাকুননিজেকে সময় দিন। নিজের ইচ্ছে পূরণে সচেষ্ট থাকুন। নিজে কী করতে চাইছেন, কেমন কাজ আপনার পছন্দ, জীবনটা কীভাবে দেখতে চান সবকিছু পরিকল্পনা করে এগিয়ে যান। নিজের ভুল নিজেই ধরুন। খুশি থাকবেন।
Advertisement
অতিরিক্ত আশা রাখবেন নাজীবনে খুব বেশি আশা রাখবেন না। সব সময় জিতে আসলেই মন থেকে জয়ী হওয়া যায় না। কিছুক্ষেত্রে বরং নিজের আবেগকে প্রাধান্য দিন। যেটুকু পেয়েছেন তাই নিয়ে নিজের মতো করে থাকার চেষ্টা করুন। সময় নিয়ে কাজ করুন। দেখবেন ভালো থাকবেন। যাদের অতিরিক্ত আছে কিংবা কিছু না থেকেই বেশি দাম্ভিক মনে রাখবেন তাদের চেয়ে খারাপ কেউ থাকে না।
অন্যের জন্য ভাবুনআপনার প্রিয়জনেরা নিশ্চয়ই চান না যে আপনি খারাপ থাকুন, কষ্টে থাকুন। আপনার ভালোথাকা, আপনার সাফল্যেই তারা খুশি। তাই তাদের কথাটাও মাথায় রাখুন। কোনোকিছুর জন্য আক্ষেপ না করে ধৈর্য ধরুন। সময়টুকু আনন্দে কাটান।
ঠান্ডা মাথায় ভেবে কাজ করুনরাগের মাথায় হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেক্ষেত্রে ভুল করার ভয় থেকে যায়। তাই রাগের বশে চট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। ঠান্ডা মাথায় ভেবে কাজ করুন। যা করতে চাইছেন তা আদৌ আপনার পক্ষে ভালো কিনা। হয়তো এখন কিছু পাচ্ছেন না বলে তাই নিয়ে দুঃখ করছেন। তবে এই দুঃখ কিন্তু সাময়িক। ভরসা রাখুন। একদিন কেটে যাবেই। স্বপ্ন থাকলে তা পূরণ হবেই।
এইচএন/জেআইএম
Advertisement