খেলাধুলা

পাকিস্তানের চেয়ে আমরা শক্তিশালী : সুজন

চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে জয় এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে। এরপর জয় মিলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষেও।

Advertisement

তবু পূরণ হচ্ছে না সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন। মঙ্গলবার ভারতের কাছে হেরে শেষ হয়ে গেছে শেষ চারের ওঠার সব আশা। তবে এখনও একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে বাংলাদেশের। শুক্রবার ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।

সে ম্যাচে জয় দিয়েই বিশ্বকাপের যাত্রাটা শেষ করার আশা দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের। তার মতে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের বর্তমান দল বেশি শক্তিশালী এবং শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশেরই জেতা উচিৎ।

বুধবার জাগোনিউজের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপে সুজন বলেন, ‘আমরা স্থির বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের চেয়ে ভালো দল আমাদের। তাদের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছি আমরা। তাই শেষ ম্যাচটি আমাদের জেতা উচিৎ। জেতার সামর্থ্য রয়েছে আমাদের। জিতলে হয়তো পাঁচ নম্বরে থাকব। বিশ্বকাপে পঞ্চম হওয়াটাও ভালো অর্জন। পাকিস্তানকে হারাতে পারলে শেষটা ভালো হবে। জয় দিয়ে শুরু এবং জয় দিয়ে শেষ করতে পারব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

Advertisement

এসময় কথা ওঠে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েও। সবার মতোই ম্যানেজার সুজনের কণ্ঠে শোনা যায় বড় জুটি গড়তে না পারার আক্ষেপ। একইসঙ্গে তিনি ভাগ্যকেও দায়ী করলেন খানিকটা।

সুজনের ভাষ্যে, ‘অবশ্যই জেতার মতো অবস্থা ছিল। ভারতের সঙ্গে ৩১৫ রান করার সামর্থ্য ছিলো আমাদের। বিশ্বকাপে আমরা সবাইকে একটা বার্তা দিতে পেরেছি যে যেকোনো দলের বিপক্ষে ৩২০ করতে পারি আমরা। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়- অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ৩৩৩ রান করেছি আমরা। কাজেই আমাদের সামর্থ্য ছিলো ৩১৫ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলার। একটা বড় জুটি হলেই হয়ে যেত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাগ্যও কিছুটা আমাদের সহায় ছিল না। তামিম খুব ভালো খেলছিল হঠাৎ করেই প্লেইড অন হয়ে গেল। সৌম্যের আউটের বলটা নির্ঘাত বাউন্ডারির ছিল। বলটা একটু এদিক-ওদিক গেলেই বাউন্ডারি হতো নিশ্চিত। আবার মুশফিক যে স্লগ সুইপে আউট হলো, সেটায় সে অনেক রান করে। এ ম্যাচেও স্কয়ার লেগে কেউ ছিল না দেখেই সে ওদিকে খেলেছে। কিন্তু বলটা ব্যাটের সুইট স্পটে লাগেনি, টাইমিংও মেলেনি ঠিকঠাক। তবে লিটন ও সাব্বিরের আরেকটু রয়ে-সয়ে খেলা উচিৎ ছিল।’

এআরবি/এসএএস

Advertisement