৩২তম ওভারে ইংল্যান্ডের ছিল ২ উইকেটে ২০৬ রান। যে ব্যাটিং লাইনআপ, শেষ ১৮ ওভারে ইংলিশদের জন্য আরও দেড়শ যোগ করা কোনো ব্যাপার ছিল না। সেক্ষেত্রে সংগ্রহটা হওয়ার কথা ছিল সাড়ে তিনশর আশপাশে। সেটা হলো না।
Advertisement
ইনিংসের শেষ ভাগে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের তোপে সেভাবে দাঁড়াতেই পারেননি ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ফলে ইংল্যান্ডের ইনিংস আটকে গেছে ৮ উইকেটে ৩০৫ রানে। চেস্টার লি স্ট্রিটে ৩০৬ তাড়া করে জিততে হবে কিউইদের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো। ১১২ বলে তারা গড়েন ১২৩ রানের ঝড়ো জুটি। ৬১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬০ রান করা রয়কে ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন জেমস নিশাম।
তারপরও ৩০তম ওভার পর্যন্ত বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই এগিয়ে যাচ্ছিল ইংল্যান্ড, রান ছিল ১ উইকেটে ১৯৪। ট্রেন্ট বোল্টের করা ৩১তম ওভারের প্রথম বলে ২৪ রান করে জো রুট আউট হওয়ার পরইে যেন মরক লেগে যায় ইংলিশ ইনিংসে।
Advertisement
পরের ওভারে ম্যাট হেনরির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন সেঞ্চুরিয়ান জনি বেয়ারস্টো। ৯৯ বলে গড়া ইংলিশ ওপেনারের ১০৬ রানের ঝড়ো ইনিংসটি ছিল ১৫টি চার আর ১টি ছক্কায় সাজানো।
এরপর জস বাটলার (১১), বেন স্টোকস (১১), ক্রিস ওকস (৪)-অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরে গেলে বিপদেই পড়ে ইংল্যান্ড। ২ উইকেটে ২০৬ রান থেকে ৬ উইকেটে ২৫৯ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকরা।
তবে সতীর্থদের এই আসা যাওয়ার মাঝেও ৪০ বলে ৪২ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন ইংলিশ দলপতি ইয়ন মরগান। আর শেষদিকে আদিল রশিদের ১২ বলে ১৬ আর লিয়াম প্ল্যাংকেটের ১২ বলে অপরাজিত ১৫ রানের দুটি ছোট ইনিংসে তিনশো পার করতে পারে স্বাগিতকরা।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি আর জেমস নিশাম।
Advertisement
এমএমআর/পিআর