জাতীয়

জনপ্রশাসনের ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী পেলেন শুদ্ধাচার পুরস্কার

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী পেয়েছেন শুদ্ধাচার পুরস্কার। বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৭-১৮ প্রদান করা হয়।

Advertisement

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয়বারের মতো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।

এ বছর দফতর বা সংস্থা প্রধানদের মধ্য হতে বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমান, (বর্তমানে সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ), গ্রেড-১ হতে গ্রেড-১০ ভুক্ত ক্যাটাগরিতে ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার উপ সচিব মো. তমিজুল ইসলাম খান এবং গ্রেড-১১ হতে গ্রেড-২০ ভুক্ত ক্যাটাগরিতে প্রতিমন্ত্রীর দফতরের অফিস সহায়ক মো. জাকির হোসেন ভুইয়া শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সার্টিফিকেট ও এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পুরষ্কার হিসেবে তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পুরস্কার দিতে দুই ক্যাটাগরিতে (গ্রেড-১ থেকে ১০ এবং গ্রেড-১১ থেকে ২০) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যায়নে মোট ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী সর্বোচ্চ ও সমান নম্বর পান। পরে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান কমিটি নীতিমালা অনুযায়ী লটারির মাধ্যমে তিনজনকে পুরস্কারে মনোনীত করে।

Advertisement

পুরস্কার গ্রহণের পর শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সব সময় মনে করেছি- কারো কাছে না হোক শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। বাকি জীবনে শতভাগ নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০১২ সালে ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় : জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ প্রণয়ন করেছে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের রূপকল্প সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা এবং অভিলক্ষ্য-রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। এ লক্ষ্য অর্জন ও শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানের জন্য ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০১৭’ প্রণীত হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও অন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের গ্রেড-১ থেকে ১০ এবং গ্রেড-১১ থেকে ২০ ভুক্ত একজন কর্মচারী এবং একই সঙ্গে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের আওতাধীন সংস্থা প্রধানদের মধ্যে থেকে একজনকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেয়া হয়।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সম্মিলিতভাবে শুদ্ধাচার চর্চা ও দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে সমূলে দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে চাই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণে আমরা কোয়ালিটি সার্ভিস দিতে সক্ষম হব।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, সবাইকে শুদ্ধাচার চর্চা করতে হবে। যারা শুদ্ধাচার চর্চা করছেন না, তাদের জন্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করতে চাই- প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তা দেখিয়েছেন আমরা কোনোভাবে দুর্নীতিকে বরদাশত করব না। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল, দুর্ব্যবহারকেও আমরা বরদাশত করব না। এ সরকার বরদাশত করবে না।

আরএমএম/এএইচ/এমএস