আন্তর্জাতিক

সংসদে হইচই ফেলা সেই ভাষণ হুবহু নকল করা!

সংসদে তার প্রথম ভাষণেই সবার নজর কেড়েছিলেন। অনেকেই তার বক্তব্যে পেয়েছেন বামপন্থী ঝাঁঝ। তুখোড় ইংরেজি আর স্পষ্ট উচ্চারণে কিছুক্ষণের জন্য যেন পুরো সংসদ স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক দিন কাটতে না-কাটতেই তার ভাষণ নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

Advertisement

অভিযোগ, একটি মার্কিন প্রকাশনা থেকে হুবহু কপি করে সংসদে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। একেবারে হুবহু কপি করা সেই ভাষণের মূলকপি পাওয়া গেছে। সেই কপির সঙ্গে সংসদে দেয়া ভাষণের কপির মিল একেবারেই শতভাগ।

এই কাণ্ড করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। হুবহু কপি করে সংসদে ভাষণ দিলেও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেননি তিনি।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশের সঙ্গে মিল তাই পশ্চিমবঙ্গের নাম ‘বাংলা’র প্রস্তাব বাতিল

Advertisement

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজের এডিটর ইন চিফ সুধীর চৌধুরী এক টুইটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত আসল নথি ও মহুয়া মৈত্রের ভাষণ পাশাপাশি প্রকাশ করেছেন।

এতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি ওয়াশিংটন মান্থলি নামে এক পত্রিকায় প্রকাশিত ওয়ার্নিং সাইনস অফ ফ্যাসিজম শীর্ষক প্রতিবেদনের বেশ কয়েকটি পংক্তি হুবহু তার ভাষণে ব্যবহার করেছেন মহুয়া। কিন্তু কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেননি।

আরও পড়ুন : আমি আর কংগ্রেসের সভাপতি নই : রাহুল গান্ধী

সুধীর চৌধুরী দেখিয়েছেন, মার্টিন লংম্যানের আসল প্রতিবেদনটিতে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’-র জায়গায় ভারত ও ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’র বদলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম বসিয়ে সেটি সংসদে পাঠ করেছেন মহুয়া।

Advertisement

আসল প্রতিবেদনে ফ্যাসিবাদের ১২টি চিহ্নের উল্লেখ থাকলেও মহুয়া ব্যবহার করেছেন ৬টি। যাতে স্পষ্ট, অনৈতিকভাবে অন্যের সৃষ্টি ব্যবহার করেছেন মহুয়া।

এসআইএস/এমএস