বয়স ৫৮ বছর। দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ার ব্রাজিলের কোচ আদেনর লিয়োনারদো বাচ্চি তিতের। ১১ বছর ফুটবল খেলেছেন, কোচিং করাচ্ছেন ২৯ বছর ধরে। ২০১৬ সাল থেকে সামলাচ্ছেন ব্রাজিল জাতীয় দলের ডাগআউট। অথচ এই ব্রাজিলিয়ানের কখনো খেলার সুযোগ হয়নি বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ভেন্যু রিও ডি জেনেরিও’র মারাকানা স্টেডিয়ামে।
Advertisement
এমনকি ২৯ বছর ধরে বিভিন্ন দলের কোচের দায়িত্ব পালন করলেও এ স্টেডিয়ামের ডাগআউটে দাঁড়ানো হয়নি তার। অবশেষে মারাকানায় অভিষেক হতে যাচ্ছে তিতের। ৭ জুলাই কোপা আমেরিকার ফাইনাল দিয়ে দেশটির ফুটবলের অনেক ইতিহাস জড়িত এ স্টেডিয়ামে অভিষেক হচ্ছে এ প্রফেসরের।
২০১৬ সালের কোপা আমেরিকায় ব্যর্থতার পর কার্লোস দুঙ্গাকে সরিয়ে তিতেকে কোচ নিয়োগ দিয়েছিল দেশটির ফুটবল কর্তৃপক্ষ। তিতের অধীনে ব্রাজিল প্রথম ট্রফি জয়ের দ্বারপ্রান্তে। আর্জেন্টিনাকে সেমিফাইনালে ২-০ গোলে হারিয়ে মারাকানার ফাইনালের টিকিট পেয়েছে স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬ টায় চিলি ও পেরুর মধ্যেকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজয়ীদের সাথে ফাইনালে মুখোমুখি হবে তিতের ব্রাজিল। মারাকানায় নতুন অনন্য যে অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে তিতের সে প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘একজন কোচ হিসেবে আমি প্রথম খেলতে যাচ্ছি মারাকানায়। অবশ্যই নতুন এ অভিজ্ঞতা আমি উপভোগ করবো।’
Advertisement
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের আগের দুই রাত ঘুমোতে পারেননি তিতে। আয়োজক হিসেবে কোপায় ব্রাজিলের শতভাগ সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধওে রাখার সে চ্যালেঞ্জে তিতের হাতে ছিল না নেইমার নামক বড় অস্ত্রটি।
মাঠে নেইমারের অভাব তিতেকে বুঝতে দেননি তার অন্য শিষ্যরা। অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন দানি আলভেজ। আক্রমণভাগে ইংলিশ লিগের দুই ফরোয়ার্ড হেসুস ও ফিরমিনোর দুর্দান্ত রসায়নে মেসিদের বাধা টপকে এখন ফাইনালমঞ্চে ব্রাজিল।
ম্যাচের পর ম্যানসিটি ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল হেসুসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিতে, ‘সে মাঠে কঠোর পরিশ্রম করেছে। এ টুর্নামেন্ট অনেকটা হতাশার মধ্যেই কাটছিল তার। আগের ম্যাচগুলোতে কোনো গোল পায়নি। এমনকি পেরুর বিরুদ্ধে ৫-০ গোলের জয়ের ম্যাচে হেসুস পেনাল্টি মিস করেছেন। হেসুস মাঠে পুরোপুরি পেশাদার মনোভাব দেখায়। সে কখনো হাল ছাড়ে না। হেসুসের আরেকটি বড় গুন সে নিজের ভুলগুলো শুধরাতে সিরিয়াস থাকে। আমি যদি তাকে ৫০ টি শ্যুটিং প্রাকটিস করতে বলি, সে করে ৫১টি।’
আরআই/আইএইচএস/এমকেএইচ
Advertisement